গরুর মাংসের বিরোধিতা করায় সরিয়ে দেওয়া হল আজমির শরীফ প্রধানকে

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরুর মাংসের নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন জানিয়েছিলেন দেশটির আজমির শরীফের প্রধান ইমাম সৈয়দ জইনুল আবেদিন। মুসলমানদের দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়েছিলেন গরুর মাংস থেকে। শুধু তাই নয় গুজরাটের গোমাংস সংক্রান্ত বিলকেও সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর আজ বুধবার আজমির শরীফের প্রধান থেকে সরিয়ে দেয়া হলো জইনুল আবেদিনকে।

জইনুলকে ‘অ-মুসলিম’ আখ্যা দিয়ে প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেন তাঁর ভাই সৈয়দ আলাউদ্দিন আলিমি। তিনি জানান, তাঁর সিদ্ধান্তে পাশে রয়েছে পরিবার। তিন তালাক প্রথার অপব্যবহার নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। সে কারণেই তাঁকে আজমির শরীফের সর্বোচ্চ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জৈনুল আবেদিনের জায়গায় আজমির শরীফের দেওয়ান নিযুক্ত হয়েছেন তাঁর ভাই আলাউদ্দিন। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি এ দাবি করেছেন। যদিও আজমির শরীফ কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন কিছু জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, আজমির খাজা মৈনুদ্দিন চিশতির ৮০৫তম বার্ষিক উরস চলাকালে জৈনুল আবেদিন বলেছিলেন, সরকারের সব ধরনে পশু হত্যা নিষিদ্ধ করা উচিত। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্বার্থে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার পক্ষেও সরব হয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্বার্থে পশু হত্যা থেকে দূরে থাকা ও গরুর মাংস না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সদর্থক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত মুসলিমদের।

তিনি আরও বলেছিলেন, গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করা উচিত ভারতীয় কেন্দ্র সরকারের। জৈনুল আবেদিন জানান, এরপর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবার গরুর মাংস ভক্ষণ করবেন না।

তিনি তিন তালাক প্রথার অপব্যবহার নিয়েও সরব হয়েছিলেন। বলেন, একসঙ্গে ‘তালাক’ তিনবার বলে বিবাহবিচ্ছেদ ধর্মীয়ভাবে বৈধ প্রথা নয়। একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান রেখে তিন তালাক দিতে হয়।-কলকাতা টোয়েন্টিফোর



মন্তব্য চালু নেই