গরমে ঝলসে যাচ্ছে জীবন

বর্ষা শেষে চলছে শান্ত সৌম্য শরৎকাল। ভাদ্র পেরিয়ে আশ্বিনের আকাশে ভেসে বেড়ানোর কথা সাদা মেঘের ভেলা। কিন্তু এই সময়েও তেজদীপ্ত সূর্য ঝলসে দিচ্ছে চার পাশ। গ্রাম, মফস্বল বা নগর, সব জায়গায় জীবন হয়ে উঠেছে অতীষ্ঠ। যানজটের নগরী ঢাকায় প্রাণ আরও উষ্ঠাগত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পারদ বলছে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন ৩৫ ছুঁইছুঁই। তবে অধিদপ্তর যেসব এলাকায় তাপমাত্রা মাপে সেখানে সবুজ গাছের পরিমাণ বেশি। তাই মূল সড়ক বা ঘরে তা অনুভূত হয় আরও বেশি। তার ওপর যানবাহনের ধোঁয়া আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাখো যন্ত্র তার পূর্ণ ক্ষমতায় চলার কারণে ছাড়া গরম বাতাসের কারণে ভবনগুলোতে পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও অসহনীয়।

দিনে সূর্য তাপ বিতরণের সময় যে গরম, রাতেও তামপাত্রা কাছাকাছি পর্যায়ে। ফলে যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র নেই, তাদের জন্য আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেছে গত অন্তত এক সপ্তাহ ধরেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টির কারণে তেমন গরম পড়েনি দেশে। তবে শীত মৌসুম আসার আগে শরতের দ্বিতীয় মাসে এসে তেজদীপ্ত সূর্য ঝলসে দিচ্ছে তার পাশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি, গতকাল রাজধানী ঢাকায় সব্বোর্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারাদেশের মধ্যে সব্বোর্চ তাপমাত্রা ছিলো সৈয়দপুরে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো হাতিয়ায় ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদেশের কোথায় তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও দিনাজপুরে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিলো। তবে তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন হয়নি সে জেলায়।

বৃষ্টি না হলে এই পরিস্থিতির অবসান হচ্ছে না সহসা। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্য সুখবরই দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভারী বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে।

আবহাওয়া অফিসের আজ সকালের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু’ এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আর এক মাস পরই শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসবে হেমন্তের কার্তিক মাস। কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। বছরের সবচেয়ে আরামদায়ক আবহাওয়া থাকবে এই ঋতুতেই।



মন্তব্য চালু নেই