যশোরের খবর

গণপিটুনিতে আহত ডাকাতের মৃত্যু

যশোরে গণপিটুনিতে আহত হয় ডাকাত নওশের আলী (৫০) ও নূর মোহাম্মদ । এ সময় তাদেরকে  উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল ভর্তি করে। বুধবার রাত ৩টার দিকে নওশের আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পুলিশ জানায় মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের রহমতপুর এলাকায় তিন সবজি ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির চেষ্টা করে। এ সময় নওশের ও নূর মোহাম্মদকে আটক করে ওই এলাকার লোকজন । পরে তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
যশোর কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার জহুরুল হক জানান গণপিটুনিতে আহত নওশের ও নূর মোহাম্মদ মারাত্মক আহত হয়। এ সময় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল ভর্তি করে। ওই রাত তিনটার দিকে নওশের মারা যায়।

আবাসিক হোটেলে কলগার্লসহ খরিদ্দার আটক, উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ: যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আবাসিক হোটেল সুপারস্টারে ম্যানেজার দেহব্যবসা চালিয়ে অর্থ উপাজন করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।কলগার্ল পুলিশ এ হোটেল থেকে মোটা অংকের মাসোহারা পকেটস্থ করছে দীর্ঘদিন ধরে। ইতোপুর্বে ওই হোটেলে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে সীলগালা করে দেয়। পরে হোটেলের নাম পরিবর্তন করে পুর্বের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। ওই এলাকার লোকজন জানায় সোমবার দুপুরে কোতয়ালি থানার এ এস আই ইসরাফিল হোসেন আবাসিক হোটেল সুপারস্টারে অভিযান চালায় । এ সময় নড়াইলের আলোচিত কলগার্লসহ দুই খরিদ্দারকে আটক করে। এসময় হোটেলের ম্যানেজার সাচ্চু এ এস আই ইসরাফিলকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে দফারফা করে নেয়। পরে পুলিশ নিজের দায় ঢাকতে ৫মতলার আবাসিক হোটেল যশোর এ অভিযান চালায়। পুলিশ চলে যাওয়ার  পর বিষয়টি ফাঁস করে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা আরও জানায় যশোরে আলোচিত আবাসিক হোটেল ইউরেপেনশন কলগার্ল দিয়ে অবৈধ যৌন ব্যবসা করার কারণে কয়েকবছর আগে ভ্রাম্যমান আদালত সিলগালা করে দেয়। এরপর ইউরেপেনশন নাম পরিবর্তন করে সুপারস্টার নাম দিয়ে পুর্বের অবৈধ ব্যবসা শুরু করে। এ ব্যাপারে  আবাসিক হোটেল সুপারস্টারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি।  তবে, এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানার এ এস আই ইসরাফিল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওই হোটেলে নড়াইলের ছেলে ও মেয়ে অবস্থান করছিল তাদেরকে আমি বাড়ি পাঠিয়ে দিই। টাকা পয়সা নেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।

স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ন্ত্রীর মামলা: যশোরে গৃহবধূ তাপসী দাস (২০) কে ঝলসে দিয়েছে পাষান্ড স্বামী ও তার শ্বশুর শাশুরী।মামলা এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলা বারাকপুর গ্রামের সুমঙ্গল দাসের কন্যা। তাপসী দাসের সাথে যশোর সদরের খোলাডাঙ্গা গ্রামের দুত কুমার ওরফে সুকুমারের পুত্র বিপুল কুমারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিপুল ব্যবসা করার জন্য দুই লাখ টাকা দাবি করে তার স্ত্রীর কাছে। টাকার জন্য তাপসীকে সব সময় নির্যাতন চালানোর এক পর্যায় গত ৪  সেপ্টেম্বর বিকেলে তাপসীকে তার স্বামীর প্ররোচনায় শ্বশুর দূত কুমার ওরফে সুকুমার ও শাশুরী পূর্ণিমা দাস গরম পানি শরীরের ডান পাশে নিক্ষেপ করে। এ সময় তাপসী দাসের শরীরের ডান অংশ ঝলসে যায়। পরবর্তীতে ১২ সেপ্টেম্বর তাপসী পাশের আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে গিয়ে উঠে নির্যাতনের বর্ননা দেয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাপসী বাপের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানায় যৌতুক লোভী স্বামী ও শ্বশুর এবং শাশুরীর বিরুদ্ধে মামলা  দায়ের করেন।

ফেনসিডিলসহ মহিলা আটক: বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকায় অভিযান চালায়।ফেনসিডিল এ সময় ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ হাসি খাতুনকে আটক করে। সে যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার জাফর শেখের স্ত্রী। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই