খুনিরা ছিল ভাড়াটে, কেউই জানত না মিতু এসপি-পত্নী!

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমের খুনিরা ছিল ভাড়াটে। তারা জানতো না তিনি এসপির স্ত্রী। কিলিং মিশন শেষ করার পর টিভিতে খবর দেখে তারা মিতুর পরিচয় জানতে পারে। আর তখনই সবাই সব যোগাযোগ বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুন অর রশীদের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দেন আসামি মোতালেব ওরফে ওয়াসিম (২৮) এবং আনোয়ার।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জবানবন্দি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করলেও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এমন অনেক তথ্যই জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আবু মুছা নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে ভাড়াটে কিলার হিসেবে ৭ সদস্যের কিলিং স্কোয়াড মিতু হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন দু’জনেই। এই খুনের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও তাদের কিছু জানা ছিল না।

১৪ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানান, এই হত্যা মিশনে অংশ নেয়া সাত সদস্যের টিমের নেতা আবু মুছা। তিনি নিজেকে পুলিশের ‘বড় সোর্স’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। মুছাই মিতুকে গুলি করেন। পুরো মিশনটার তদারকি করেছেন মুছা।

ওয়াসিম আরো জানান, ঘটনার আগের রাতে ৭ জন মুছার বাসায় মিটিং করে। হত্যার মিশন বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন মুছা।

ওয়াসিম ও আনোয়ার এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীর নাম জানায়নি। মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে হত্যা মিশনে ভাড়া করা হলেও খুনের পর দুই-তিন হাজার টাকার বেশি কেউ পায়নি।

তারা আরো জানান, হত্যাকাণ্ডে অংশ নিতে মুছার মাধ্যমে ভোলা নামে একজন তাদের একটি রিভলবার ও একটি পিস্তল সরবরাহ করে। এ দুটি অস্ত্র ওয়াসিম ও আনোয়ার গ্রহণ করে ঘটনার আগের দিন রাতেই। তবে ভোলা ঘটনাস্থলে ওই দিন ছিলেন না।

১০ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে আনোয়ার জানান, হত্যাকাণ্ডের পরে টিভিতে যখন নিহত ওই নারী এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী বলে নিশ্চিত হয় তখন তারা ভয় পেয়ে মুছাকে ফোন করেন। এসময় মুছা নিজেকে এক বড় পুলিশ কর্মকর্তার সোর্স দাবি করে তাদের হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন। এরপর তারা উভয়ে (ওয়াসিম-আনোয়ার) জামা-কাপড় পাল্টে আত্মগোপনে চলে যান এবং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই