‘খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন কে দিল?’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন কে দিয়েছে?’
তিনি বলেন, ‘সেখানে তো টিভি ক্যামেরা অনেক ছিল। কোনো ডাক্তারকে তো দেখা যায়নি।’ এটাকে চরম মিথ্যাচার বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে রোববার মাগরিবের বিরতির পরে ‘অনির্ধারিত আলোচনায়’ শেখ সেলিম এমন প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ‘যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভদ্রতা, সৌজন্যতা, শিষ্টাচার থাকে, তাদের পক্ষে এ কাজ করা কখনো সম্ভব নয়। এটা কোন ধরনের আচরণ? ভেতর থেকে একটা মানুষও এল না, কেউ বললও না।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলা, তিনি মহিলা দেখেও আসতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার আগে গেট আটকে দেওয়া হয়েছে, এটা কোন ধরনের আচরণ! এটা প্রধানমন্ত্রীকে নয়, গোটা দেশবাসীকে অসম্মান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে কোথাও গেলে তাকে দরজা খুলে দেওয়া হবে না? এদের কাছে কোনো শিষ্টাচার, মানবতা বা ভালো ব্যবহার আশা করা যায় না।’
সেলিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জীবনের ওপর বড় হুমকি। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কী ছিলো সেটা কেউ জানে না। তবুও তিনি জীবনের মায়া করেননি। আমরা তো সান্ত্বনা দিতে গেছি। আপনারা তো রাজনীতি করেছেন? ওখানে কি কোনো জঙ্গি, সন্ত্রাসী ছিল? কোনো অবৈধ অস্ত্র ছিল?’
ওই বাসায় কারা কারা অবস্থান করছে, কী কী অবৈধ জিনিস আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে খোঁজ নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
শেখ সেলিম আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বামী মারা যাওয়ার পরে খালেদা জিয়া যখন আসেন, তখন মন্ত্রীরা তাকে রিসিভ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। একেই বলে শিষ্টাচার। যার সন্তান যায়, সেই বুঝতে পারে। কিন্তু পুত্রসন্তানের মৃত্যুর খবর আসার পরেও ৩৬ ঘণ্টা হরতাল ও অবরোধ দিতে পারে? এটা আমি ভেবে কূল পাই না।’
খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে ‘বেয়াদব’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘শিমুল বিশ্বাস একটা খাতা নিয়ে এসেছে, শোক বইতে লেখার জন্য আমি খাতা নিয়ে এসেছি। একটা বেয়াদব। টিভিতেও শোনা গেছে, কোনো ডাক্তার সেখানে যায়নি। কোন ডাক্তার ইনজেকশন দিয়েছে। সব বানোয়াট মিথ্যা। গোটা বাংলাদেশের মানুষ তোমাদের ধিক্কার দিয়েছে, তোমরাই অপমানিত হয়েছ।’
এর আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের যতটুকু লজ্জা দিয়েছে, তার চেয়েও বেশি শিক্ষা দিয়েছে। আমরা এ থেকে ইতিহাসের সে শিক্ষাই নিয়েছি, অপাত্রে ঘি ঢালতে নেই। কিছু কিছু বিষয় আছে, যা নিয়ে কোনো দিন নেগোশিয়েট করা যায় না। যা নিয়ে একজনের সঙ্গে অন্যজনের মিল করা যায় না। আগুনের সঙ্গে পানি, তেলের সঙ্গে যেমন জলের মিল করা যায় না, তেমনি অপরাধীদের সঙ্গেও মিল হয় না।’
এ আলোচনায় প্রথমে বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তারপরে বক্তব্য দেন ডা. দীপু মনি, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই