খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হকের আদালত শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী ঢাকা সিএমএম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন। মামলার শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক একই অভিযোগে আর একটি মামলা দায়ের করেন। এরও আগে নড়াইল জেলা আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। তবে ওই দুই মামলায় গয়েশ^র চন্দ্র রায় আসামি নন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
অন্যদিকে গত ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের ফুল দেই, আবার না গেলে পাপ হয়। তারা (শহীদ বুদ্ধিজীবী) যদি বুদ্ধিমান হতেন তবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকলেন কেন।’
এসব বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু উক্ত বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা মানহানিকর।
মন্তব্য চালু নেই