খালেদার গ্রেপ্তার সরকারের পতনকেই তরান্বিত করবে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের যে কোনো পদক্ষেপ সরকারের পতনকেই তরান্বিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

বুধবার রাতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ স্বৈরশাসক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। দলীয়করণ, কুক্ষিগতকরণ, নগ্নহস্তক্ষেপ ও বিচারক অভিশংসন আইন পাস করিয়ে সরকার দেশে বিচারিক নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে বিরোধী দল ও মতকে দমনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে সমগ্র বিচার ব্যবস্থাকে। তারই অংশ হিসেবে আজ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশবাসী, আন্তর্জাতিক মহলসহ সকলেই অবহিত আছেন- খালেদা জিয়াকে সরকার অঘোষিতভাবে গৃহবন্দী অবস্থায় রেখেছে, যেখানে দীর্ঘ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খাদ্য সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এখনো পর্যন্ত তিনি টেলিফোন, ফ্যাক্স, কেবল সংযোগ ও নেটওয়ার্কসহ সকল বৈদ্যুতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। আদালতের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই- ইতোপূর্বে আদালতে যাওয়ার পথে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা খালেদার গাড়িবহরে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দলের অনেক নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে পুলিশী সহায়তায়। অথচ সেই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এখন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে অপারগতার কথা আদালতকে জানানোর পরও সরকারি প্রভাবে খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ হীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মানসে সরকার এ জাতীয় মিথ্যা মামলায় তাকে হয়রানী করার ঘৃণ্য চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘মামলা-হামলা-গ্রেপ্তারের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চলমান গণআন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদেরসহ সারাদেশ থেকে ২০ হাজারেরও অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে এবং তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে শত শত নেতাকর্মীকে হতাহত করেও গণআন্দোলনকে দমাতে না পেরে সরকার অবৈধ গদি রক্ষার শেষ চেষ্টা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের যে কোনো পদক্ষেপ বরং সরকারের পতনকেই তরান্বিত করবে।’



মন্তব্য চালু নেই