খালেদার গাড়িবহরে হামলাকারী কারা ?

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় সোমবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনও হামলাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি। অপরদিকে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেছেন, হামলার ঘটনা সরকারের ষড়যন্ত্র।

হামলার সময়ের আলোকচিত্রে দেখা গেছে, খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলাকারী এক যুবক গাড়ির সামনের দিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছেন। তারা পরনে জিন্সপ্যান্ট, হাফ হাতা খয়েরি রংয়ের শার্ট। গাড়ির পেছনের দিকে দেখা যাচ্ছে কালো প্যান্ট ও সাদা ফুল হাতা শার্ট পরা একজন অপর একটি গাড়ির দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। সামনে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিশ সদস্য হাত তুলে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছেন।

খয়েরি শার্ট পরা ওই যুবককে বহরের আরেকটি গাড়ির পাশ থেকে আঘাত করতে দেখা যাচ্ছে।

এ ছাড়া অপরে এক হামলাকারী ঘিয়ে রংয়ের প্যান্ট ও অফ হোয়াইটের টি-শার্ট পরা। তিনি হাতে থাকা লাঠি দিয়ে গাড়িতে আঘাত করছেন। তার মুখে দাড়ি দেখা যায়। পাশেই নীল ব্যাগ কাঁধে এক যুবককে হাতুড়ি হাতে হামলা করতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেলারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপরাসনের গাড়িবহরে হামরা সরকারেরই ষড়যন্ত্র। যেভাবে হামলা চালোনো হয়েছে চেয়ারপারসনের গাড়ি বুলেটপ্রুফ না হলে তিনি আহত হতে পারতেন। কিংবা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’

মাহবুবুর বলেন, ‘এটি অশনি সংকেত। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সিটি নিবার্চনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বানচাল করার জন্য এ হামলা করা হয়েছে। আমার জাতীয় নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করছি। এরই অংশ হিসেবে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আরও সাত দিন আগেই সেনা মোতায়েন করা উচিৎ ছিল। আমরা যে অবস্থা দেখছি ঢাকা ও চট্রগ্রাম সিটি নির্বাচনে রক্তের গঙ্গা বয়ে যেতে পারে।’

পুলিশ বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা দেওয়া হবে।

তেজগাঁও থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। বিএনপির অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে জানাতে পারব।’

এদিকে বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় আমরা মঙ্গলবার একটি এজাহার দিয়েছি।’

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও একটি মামলা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল হক জিল্লু সোমবার রাতে বিএনপির ১০০ জন অজ্ঞাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিএনপির অজ্ঞাত ১০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে মামলাটি করা হয়। মামলা নম্বর ৩৯।’

বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বক্তব্য দেওয়ার একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারা হয়। এ ছাড়া লাঠি ও লোহার পাইপ দিয়ে কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এতে চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারসহ পাঁচজন আহত হন।



মন্তব্য চালু নেই