সৈনিক লীগের ২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

খালেদার কার্যালয়ে ইট ছুড়ল যুবক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে তার কার্যালয়ে এবার ইট মারল পরান নামে এক যুবক। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের বাসিন্দা এই ব্যক্তি নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে সাংবাদিকদের কাছে পরিচয় দিয়েছেন।

মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতোই বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকরা অবস্থান করছিলেন। পরান নামের ওই যুবক আগে থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে পুরোনো সংবাদপত্র বিছিয়ে বসেছিলেন। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ করেই বসে থাকা সেই ব্যক্তি একটি পূর্ণাঙ্গ ইটের অর্ধেক অংশ নিয়ে কার্যালয়ের দিকে তেড়ে যান।

এ সময় তার হাতে থাকা ইট ছুড়ে মারেন কার্যালয়ের দিকে। ইটটি কার্যালয়ের দেয়ালে লেগে টুকরো টুকরো হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। কার্যালয়ে দেয়ালের যে অংশে ইটটি লেগেছে তার ঠিক নিচেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় একটি ছবি লাগানো।

index

এ সময় পরান মুখে বলতে থাকেন, ‘হরতাল-অবরোধ দিয়ে মানুষ পুড়ায় মারছিস। আমার ভাইরে মারছিস। তোরে ছাড়ব না।’ তার পরনে ছিল ফুল হাতা গেঞ্জির ওপরে কোট আর জিন্স প্যান্ট।

এ ঘটনার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে টেনে-হিচড়ে গাড়িতে ওঠায়। প্রায় পাঁচ মিনিট গাড়িতে বসিয়ে রেখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার  বলেন, ‘ইটটি যখন ছুড়ে মারা হয়, তখন কার্যালয়ে ওই স্থানের পাশেই আমরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। অল্পের জন্য ইটটি আমাদের লাগেনি।’

এর আগে গত মঙ্গলবার হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার না করায় এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলি করতে অস্ত্র হাতে তার কার্যালয়ের সামনে এসছিলেন মুফিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।

index3333

ওই দিন মফিদুলের একটি অস্ত্র বের করে বলেন, ‘সে (খালেদা জিয়া) কোথায়। হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করে নাই কেন? তাকে গুলি করে মারব!’

ওই সময়ে মফিদুল ইসলামের এমন আকস্মিক আচরণে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের ভীতির সঞ্চার হয়। পরে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক দু’দিন আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই ৩ জানুয়ারি রাত থেকে এখনো কার্যালয়েই অবস্থান করছেন তিনি। নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনে কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধায় তা পারেননি। পরে কার্যালয়ের ভেতর থেকেই অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন তিনি।

প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য রোববার নিজস্ব ব্যবস্থায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কার্যালয়টির নিরাপত্তা বাড়াতে এর চারপাশের দেয়ালের উপরে লাগানো হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া।

 

খালেদাকে ২ ঘণ্টা সময় দিল সৈনিক লীগ

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা হরতাল এবং অনির্দিষ্টকালের অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুই ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ’ নামের একটি সংগঠন। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাওয়ে এসে এই আল্টিমেটাম দিয়ে ফিরে যায় এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের প্রবেশ মুখে এসে বিক্ষোভ দেখায়। ২০-২৫ মিনিটি সেখানে অবস্থান করে অবশেষে পুলিশের বাধার মুখে ফিরে যায়। শতাধিক নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার না করা হলে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার মদদদাতা খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে বিচার করা হবে।’

আরো পড়ুন :

‘খালেদা কোথায়? তাকে গুলি করে মারব!’



মন্তব্য চালু নেই