খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে ৫ মে

দুদকের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে আগামী ৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বকশিবাজারস্থ আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই দিন ধার্যের আদেশ দেন।

খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলায় জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি হলেন জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান।

এর আগে দুই মামলায়ই খালেদা জিয়ার পক্ষে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিতির জন্য আবেদন জানান তার অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

অপরদিকে এ মামলায় শুনানির অপেক্ষায় থাকা হাইকোর্টে খালেদার রিভিশন আবেদনের বিষয়ে সার্টিফাইড কপি আদালতে দাখিল করেন খালেদার আইনজীবীরা।

পরে আদালত আবেদন দুটি বিবেচনা করেন এবং আবেদন মঞ্জুর করে মামলার পরবর্তি তারিখ নির্ধারণের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

দুই মামলারই বাদী হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জমির মালিককে দেয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।



মন্তব্য চালু নেই