খালেদাকে রাজনীতি থেকে সরাতেই মামলা স্থানান্তর
পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার সকালে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, ‘একটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই মামলা দুটি তড়িগড়ি করে বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আদালত স্থানান্তরের কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে দায়রা জজ আদালতে মামলার কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় খালেদা জিয়ার সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘মেয়র আইভি রহমান প্রথমে জনসভার অনুমতি দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি কর্তৃপক্ষ জনসভার জন্য সব রকমের সহযোগিতা করবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সারাদেশে যখন প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে। তখন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ জারি করতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শান্তনা এবং জনগণকে সুচিন্তিত নির্দেশনা দেয়ার জন্য খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে জনসভা করবেন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা দাবি করেন, বিদেশ যেতে দেয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও গতকাল বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন ওপরের নির্দেশে এটি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই