ক্ষুধা মিটালাম, এখন প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্যঘোষিত বেতনকাঠামো নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ প্রসঙ্গে বলেছেন, এত বেতন বাড়ানোর পরও কারও কারও কেন অসন্তোষ তা আমার বোধগম্য নয়।

আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।

শিক্ষকসহ আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেটের ক্ষুধা মিটালাম, এখন কেউ প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি, আমরা যতই দিই কিছু লোক যেন কিছুতেই খুশি হতে চায় না।

আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের বেতন ১২৩ ভাগ বাড়িয়েছি, সমস্যা হলে দেখবো, কিন্তু কোনোক্রমেই ছেলেমেয়েদের পড়ানো বন্ধ করবেন না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে শিক্ষাকে সেশনজটমুক্ত করার চেষ্টা করে আসছি, সেটা যেন অব্যাহত থাকে সে ব্যাপারে আন্তরিক হোন।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা অনেক উপরে; তারা সচিবের মর্যাদা চাইলে আমার আর বলার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমার শিক্ষক প্রফেসর আনিসুজ্জামান। আমি প্রধানমন্ত্রী হলেও শিক্ষক হিসেবে তিনি আমার অনেক উপরে। শিক্ষকের মর্যাদায় আর কেউ নন।

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সচিবের মর্যাদা চাইলে চাকরি ছেড়ে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সচিব হয়ে যান।

তিনি বলেন, আমি কোনো দাবি ছাড়াই শিক্ষকদের বয়স ৬৫ বছর করে দিয়েছি; তারা কি চান এখন সচিবদের সঙ্গে মিলিয়ে আবার তাদের বয়স ৫৯ বছর করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রো রেল নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলনেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এই যাত্রায় বাধা না দিতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই