ক্রিকেটার শাহাদাত সাময়িক নিষিদ্ধ

শিশু নির্যাতনের ঘটনা ফেরারি আসামী ক্রিকেটার শাহাদাতের ওপর অবশেষে খড়গহস্ত হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিও। গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের কারণে ক্রিকেট এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকল কিছু থেকে শাহাদাত হোসেন রাজীবের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিসিবি। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুমন রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এ কথা জানান। শিশু নির্যাতনের বিষয়টি যতদিন পর্যন্ত সুরাহা না হবে, ততদিন নিষিদ্ধ থাকবেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।

শনিবারই বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় বিসিবিকে পাশে পাচ্ছে না শাহদাত। এ ব্যাপারে বিসিবির করার কিছুই নেই। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবেন কি না শাহাদাত- এ বিষয়টা বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর ঝুলিয়ে রেখেছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। অবশেষে বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানিয়ে দিলেন, আসন্ন জাতীয় লিগ কেন, কোন ক্রিকেটই আর খেলতে পারছেন না শাহাদাত।

আপাতত, গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপির ওপর নির্যাতন এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার বিষয়টা যতদিন সুরাহা না হচ্ছে, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। শাহাদাত মুক্ত হয়ে ফিরে আসতে পারলে, নিষেধাজ্ঞা থেকেও মুক্তি পাবেন তিনি।

উল্লেখ্য, ৬ সেপ্টেম্বর, রোববার মিরপুর থানায় শাহাদাত একটি জিডি করেন; যাতে তিনি বলেন, তারা বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর একইদিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এরপর তাকে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হ্যাপি অভিযোগ করেন শাহাদাতের বাসায় তার উপর নির্যাতন চালানো হতো। পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে খোন্দকার মোজাম্মেল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি শিশু নির্যাতনের দায়ে শাহাদাতের নামে মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই স্ত্রীসহ পলাতক রয়েছেন শাহাদাত। পুলিশ এখনও তাকে খুঁজে বের করতে পারেনি।

এরই মধ্যে, গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রধান, বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল জানিয়েছেন, এ ঘটনায় শাহাদাতের জন্য বিসিবির কিছুই করার নেই। তবে, যেহেতু এখনও আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, সেহেতু জাতীয় লিগ কিংবা ঘরোয়া লিগে তার খেলতে বাধা নেই। একইদিন বিসিবিতে গিয়ে ধরনা দেন শাহাদাতের বাবা-মা। তারা দাবি করেন, তাদের ছেলে নির্দোষ। শাহাদাতের নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।



মন্তব্য চালু নেই