অভিজিৎ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী

‘ক্রসফায়ারে’ নিহত যুবক শরিফুল নয়, ‘মুকুল রানা’

বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য শরিফুল ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ (৩০) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন তার নাম মুকুল রানা।

সোমবার (২০ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে লাশ শনাক্ত করেন নিহতের দুলাভাই হেদায়েতুল ইসলাম ও চাচাত ভাই রহমত আলী।

নিহতের দুলাভাই হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, পত্রিকায় ছবি দেখে তারা সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে এসেছেন। লাশ দেখে তারা শনাক্ত করতে পেরেছেন। তার নাম মুকুল রানা (২৫)। পিতার নাম আবুল কালাম আজাদ। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার বালুইগাছা।

তবে মুকুল রানা কোন জঙ্গি সংগঠন বা কোন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা-এ বিষয়ে তারা কোন কিছুই জানেন না বলে জানান।

হেদায়েতুল ইসলাম আরও বলেন, মুকুল রানা সাতক্ষীরা গভর্মেন্ট কলেজের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিল। তারা দুই ভাই এক বোন। সে ভাই বোনদের মধ্যে দ্বিতীয়। তাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল নয়। সাতক্ষীরায় তার বাবার ছোট চিংড়ি ঘেরের ব্যবসা রয়েছে। গত এক বছর আগে চাকরির সন্ধানে ‍মুকুল রানা সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় চলে আসে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রামে যায় এবং মহুয়া সুলতানা নামে এক মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। এরপর সে ঢাকায় ফিরে আসে। ঢাকায় উত্তরায় সে থাকতো। তবে উত্তরার কোথায় থাকতো, কি করতো এ ব্যাপারে কোন কিছুই জানাতে পারেননি হেদায়েতুল ইসলাম।

এছাড়া মুকুল নিখোঁজ ছিল কি না-তাও জানাতে পারেননি তিনি।

হেদায়েতুল ইসলাম আরও জানান, তিনি সাতক্ষীরায় থাকেন এবং একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে খিলগাঁও থানার এসআই আল মামুন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের নাম শরিফুল উল্লেখ করে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা অভিভাবক ছাড়া এ নামে লাশের সুরতহাল রিপোর্টে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস মেহেদী। পরে অজ্ঞাতনামা (২৫) হিসাবে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন হয়।

এখানে উল্লেখ্য, রবিবার (১৯ জুন) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তিনি। প্রথমে তাকে অজ্ঞাতনামা হিসাবে উল্লেখ করা হলেও পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় নিহতের নাম শরিফুল ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ (৩০)। সে অভিজিৎ হত্যার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ব্লগার ও প্রকাশক হত্যার ঘটনায় জড়িত ৬ জন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যের নামে পুরস্কার ঘোষণা করে ডিএমপি। শরিফুল এ ৬ জনের মধ্যে একজন। তার সম্পর্কে তথ্য দাতাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছিল ডিএমপি।-দ্য রিপোর্ট

আরো পড়ুন

বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরিফুল অভিজিৎ হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী : ডিএমপি



মন্তব্য চালু নেই