কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরি খাবার

কোন সমস্যা থাকুক আর না থাকুক, কোলেস্টেরলের মাত্রা যেকোন সময় বৃদ্ধি পেতে পারে আমাদের দেহে। তাই এই সমস্যায় অবশ্যই জানা প্রয়োজন কোন খাবার গুলো আমাদের খাওয়া উচিৎ ও কতটুকু পরিমাণে খাওয়া উচিৎ। তাছাড়া আমাদের সকলেরই একটু মাথা খাটিয়ে দেখা প্রয়োজন যে প্রতিদিন আমরা কী খাচ্ছি, কতটুকু পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাওয়া হচ্ছে, এক্সারসাইজ কতটুকু করছেন নাকি একেবারেই করছেন না। এই বিষয়গুলো সরাসরি জড়িত আমাদের দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রার সাথে। কোলেস্টেরলের কারণে হতে পারে হার্টের সমস্যা সহ আরও অনেক ধরণের অসুখ। তাই সময় থাকতে যদি আমাদের সকলকেই এই বিষয়ে সচেতন হওয়া খুব জরুরি।

কোলেস্টেরল কী ?

কোলেস্টেরল হল ভারী ফ্যাটি এসিড। লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করলে দেখা যাবে যে আমাদের দেহে ৫ রকমের কোলেস্টেরল আছে। এর মধ্যে হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন ভালো কোলেস্টেরল। বাকি গুলো দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কোলেস্টেরল হওয়ার পিছনে বংশগত কারণের সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনও দায়ী। ফাস্ট ফুড, অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, বসে বসে কাজ করা, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাও এর জন্য দায়ী। দেহে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেই অনুযায়ী যদি তা বার্ন আউট না করা হয় তাহলে কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আবার অনেক সময় কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে কোন কারণও থাকে না। কিন্তু অলসতা, দুর্বল দেহ, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ।

কোলেস্টেরলের সমস্যায় যে খাবারগুলো খাবনে ও খাবেন না

১। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে রেড মিট, ফ্যাটি জাঙ্ক ফুড ইত্যাদি খাবার গুলো খাদ্য তালিকা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বাদ দিতে হবে। গরুর বা খাসির মাংস না খেয়ে আপনি মুরগির মাংস খেতে পারেন।

২। তৈলাক্ত মাছ যেমন ইলিশ, কই, পাঙ্গাস কম খেয়ে ছোট ও কম তেলের মাছ খাওয়া ভালো।

৩। অনেকেই মনে করেন সয়াবিন তেল বা বাদামের তেল খুব স্বাস্থ্যকর। কিন্তু সরিষার তেলেরে মধ্যে আছে বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য উপাদান যার জন্য সরিষার তেল খুব ভালো।

৪। নিয়ম মাফিক খাওয়া দাওয়ার পর অবশ্যই এক্সারসাইজ করা জরুরি। অনেকেই আছেন যারা মোটা নন কিন্তু কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগেন। তাই খাওয়া দাওয়ার ব্যপারে একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ।

৫। ফলের মধ্যে কমলেবু, জাম্বুরা, আপেল, লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপাদান জা দেহের জন্য ভালো ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে। তবে আম ও কলা এড়িয়ে চলুন। এই ফলগুলোতে ক্যালরি কনটেন্ট বেশি।

৬। কোলেস্টেরল কমাতে ওষুধের মধ্যে ডাক্তারেরা স্ট্যাটিন গ্রুপের ওষুধ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোলেস্টেরলে কমতে অনেক সময় লাগে। এই গ্রুপের ওষুধগুলো কার্ডিওপ্রোটেকটিভ। ফ্যাট ব্রেক ডাউন করে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু সব কিছুর পরেও সবচেয়ে জরুরি হল নিজের দৈনন্দিন জীবনযাপন সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।



মন্তব্য চালু নেই