কে এই বৃদ্ধ? যার পায়ে হাত রাখলেন শিক্ষাসচিব!

শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান তাঁর প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক বাবু অশ্বিনী কুমার সরকারের পা ছুঁয়ে সম্মান জানালেন । প্রায় ৫০ বছর পর সচিবের প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক অশ্বিনী বাবুর সঙ্গে সাক্ষাত ঘটেছে আজ শুক্রবার তাঁর ৩৮ মিন্টুরোডের সরকারি বাসভবনে।

সচিব বলেন, তাঁর প্রাইমারি স্কুলের ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে একমাত্র অশ্বিনী বাবুই বেঁচে আছেন। গত তিন/চার দিন যাবত সচিব তার এই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করার কথা ভাবছিলেন। কাকতালীয়ভাবে আজ সকাল সাড়ে দশটার দিকে সচিবের বাসায় সেই শিক্ষক হাজির। সচিব বলেন এটা টেলিপ্যাথি। যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার মশ্বিমনগর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক অশ্বিনী বাবু অবসরে গেছেন ৯৪ খ্রিস্টাব্দে। স্মৃতিচারণ করে সচিব বলেন, এই প্রাইমারি স্কুলের চালা ছিল তালপাতার। প্রতিবছর শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে তাল পাতা কাটতে হতো। আমি তালপাতার স্কুলের শিক্ষার্থী আর অশ্বিনী বাবু সেই স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষাসচিব হতে পেরেছি এখবর শুনে স্যার খুবই খুশী হয়েছিলেন।

সচিব বলেন, আজ খুব সকালে তিনি বাসার বাইরে যান। ফিরে আসেন সাড়ে দশটার দিকে। এসে ড্রইংরুমে অন্য কয়েকজনের সঙ্গে প্রায় ৮০ বছর বয়সী তার শিক্ষক বসে আছেন। একনজর দেখেই সচিব বলেন উঠলেন, আপনি আমার শ্রদ্ধেয় অশ্বিনী স্যার, তাই না? স্যার আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। জড়িয়ে ধরে চোখের পানি ফেলেন দুজনেই। এরপরই পায়ে হাত দিয়ে সম্মান জানান তার শিক্ষককে। অতিথিদের একজন ছবি তুললেন। সচিব বললেন একটা ছবি যেন তাকে দেওয়া হয়। বাধাঁই করে রাখবেন তার ড্রইংরুমে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্যারের চেহারা খুব ভালো ছিল। বয়সের ভারে বদলে গেছেন অনেক। তবুও এত বছর পরেও তাঁকে দেখে চিনতে পেরেছি।

অশ্বিনী বাবু জানান, আজ সকালে বাসযোগে ঢাকায় নেমেই সচিবের বাসায় উঠেন।

অশ্বিনী বাবু বলেন, তার ছেলে পেট্রোবাংলায় বড় পদে চাকুরি করেন। তিনি সাধারণত ঢাকায় আসেন না। সচিবের সঙ্গে তার ছেলেই যোগাযোগ রাখেন। ছেলের কাছ থেকেই তার খবর নেন প্রিয় ও সফল ছাত্র নজরুল ইসলাম খান।



মন্তব্য চালু নেই