কেন উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ নয়?

২০১০ সালের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজাহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, ডেপুটি কমিশনার, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ, অ্যাডভোকেট তপতি দাস। ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন এবং দৌলতখান উপজেলার ৬৯ জন উত্তীর্ণ চাকুরি প্রার্থীর পক্ষে রিট আবেদনটি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১০ সালে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনকারীদের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ২০১২ সালে এর ফলাফলও প্রকাশ করা হয়।

পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পৃথক সিদ্ধান্তে জানায়, উপজেলাভিত্তিক নয় বরং ইউনিয়নভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন উপজেলায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে আমলে না নিলে পরবর্তীতে আদালতের শরণাপন্ন হন চাকরি প্রার্থীরা।

এছাড়া ঝালকাঠি জেলায় ১০৫, টাঙ্গাইলে ১ এবং জামালপুরে ৪ উত্তীর্ণ চাকুরী প্রার্থীর বিষয়েও একই রুল জারি করেন আদালত। অন্যদিকে পৃথক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ জুন নওগাঁ জেলার উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।



মন্তব্য চালু নেই