‘কেন্দ্রীয় সরকার যার স্থানীয় সরকারও তার’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘যারা আন্দোলনে হেরে যায়, তারা নির্বাচনেও হেরে যায়। কখনও শুনেছেন আন্দোলনে হেরে নির্বাচনে কেউ জিতেছেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সব পরীক্ষায় ফেল করেছেন। এ নির্বাচনেও ফেল করবেন। কেন্দ্রীয় সরকার যার স্থানীয় সরকারও তার।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর-দক্ষিণ) নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের সমর্থনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাবি পরিবার।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগর দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন, নির্বাচনের মুখ্য সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাজমা শাহীন প্রমুখ।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন সরকারেও নেই বিরোধী দলেও নেই। আমাদের সঙ্গে আছে কেন্দ্রীয় সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। তারা মানুষের জন্য কাজ করবে কিভাবে?’

বিএনপি প্রার্থীদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবাই মামলার আসামি। তাদের যোগ্যতা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। খালেদা জিয়া প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে অযোগ্যদের মনোনয়ন দিয়েছেন।’

উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই স্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু দেশকে, দেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে বিভাজনের চেষ্টা অনেক আগে থেকেই হয়েছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে বিভাজন করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করেছে।

তিনি বলেন, এ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যারাই নেতৃত্ব দিতে আসবেন তাদের সবাইকে স্বাধীনতার পক্ষের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে। মহানগর দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী হিসেবে সাঈদ খোকন অত্যন্ত যোগ্য বলেও মত দেন তিনি।

সাঈদ খোকন প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, তিনি তার বাবার মতো স্বাধীনতার সপক্ষের চেতনাকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছেন। তার প্রতি আমাদের সবার অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।

সাঈদ খোকন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষকে যেভাবে আগুনে পুড়িয়ে ও গুলি করে মেরেছিল, বিএনপি-জামায়াত জোট কর্মসূচির নামে ঠিক একইভাবে দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, সেই বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। হরতাল-অবরোধের নামে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারার বিচারও এ দেশের মাটিতে হবে। আপনাদের ভোট ও আমার বিজয়ের মাধ্যমে সেই বিচার প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।

‘ঢাকা শহরকে আরও উন্নত ও বাসযোগ্য সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জাতির দুর্দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশে পেয়ে আমার আত্মবিশ্বাস আরও সুদৃঢ় হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই