কুমিল্লার নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি : সিইসি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব শতভাগ সফলভাবে পালন করতে পেরেছি- এমন দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘আমরা সফল হয়েছি। প্রচুর সংখ্যক ভোটার উপস্থিত ছিলেন, সবাই ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো ছিলো। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে এ সব কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, দুই একটি বিশৃঙ্খলার ঘটনা যা ঘটেছে তা আমরা সাথে সাথে মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি।

এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর অভিযোগের প্রসঙ্গ তুললে প্রধান নির্বাচন কমিশন বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে যদি বলি তবে বলব নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। আপনারাই তো সারাদিনে দেখিয়েছেন, বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বড় দুই দলের প্রার্থী থাকায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণ করার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এছাড়া প্রশাসনের দায়িত্ব পালনে ব্যাপক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ভালো ছিলো, সবাই ভোট দিয়েছেন নির্ভয়ে এমন কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ২৭ জন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তারা সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছেন।
কুমিল্লা নির্বাচনে যেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা তাৎক্ষনিকভাবে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হয়েছে এবং কিছু সময়ের মধ্যে আবার ভোট গ্রহণের ব্যস্থা করা হয়েছে- এ দাবিও করেন তিনি। নির্বাচনের পরিবেশ আমাদের নাগালে ছিলো। তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই প্রার্থীদের প্রচারণা থেকে শুরু করে সবাইকে সমান সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়েছে।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আঞ্জুমান সুলতানা সীমা, বিএনপি প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু, জাতীয় সমাজতান্তিক দল (জেএসডি) প্রার্থী শিরিন আক্তার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) মামুনুর রশিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৪ এবং ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ২৭টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯টি, ভোটকেন্দ্র ১০৩টি এবং ৬২৮টি ভোট কক্ষে একজন মেয়র, ৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন নগরের ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন বাসিন্দা। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন।



মন্তব্য চালু নেই