কক্সবাজারের উখিয়ার খবর

কিশোরীদের ইভটিজিং এড়াতে মোবাইলফোন ব্যবহার না করার আহবান পুলিশের

কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশ মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইভটিজিং প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে শিশু ও কিশোরীদের এ বিষয়ে সর্তক করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান মরিচ্যাপালং মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইভটিজিং প্রতিরোধ বিষয়ক এক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একজন ছাত্রী সহজে খারাপ প্রবণতার দিকে ধাবিত হওয়াটা স্বাভাবিক উলে¬খ করে তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, মোবাইল ফোনের কারণে সমাজে নানা প্রকার অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ সহজেই অপরাধ করে মোবাইলের মাধ্যমে ঘটনা চাপা দিয়ে থাকে। অনেক সময় আইন শৃংখলা বাহিনী ও সহজে অপরাধীদের সনাক্ত করতে পারে না। উখিয়ার মরিচ্যা পালং মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সচেনতা মূলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেছেন।
এসময় তিনি বলেন, শিশু ও কিশোর ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার নির্দেশ দেন। এলাকার আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিকতা, অপরাধীদের আস্তনায় দফায় দফায় অভিযান, ইভটিজিং, মানব পাচার রোধসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয় গুলো নিয়ে পুলিশের আন্তরিকতা ও কঠোর হস্তক্ষেপে অনেকটা কমে এসেছে। এমন কি ইভটিজিং রোধে ক্যাম্পেইন করে পরামর্শ ও সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান করে স্কুল, কলেজে ও মাদ্রাসার ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এ সময় তিনি ছাত্রীদের মায়ের জাত উলে¬খ করে বলেন, আজকের পরিপাটি ও শিক্ষিত মেয়ে আগামী দিনের একজন আদর্শ মাতা। তাই তিনি ইভটিজিং রোধ, মানবপাচার ও বাল্য বিবাহ রোধে সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি যে কোন প্রয়োজনে উখিয়া পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শও দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা রাজিয়া, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মাজেদ, আব্দুল¬াহ আল হাকিম বাবুল, মিলন কুমার বড়–য়া, দীনেশ বড়–য়া, রুবিনা খানম, বাবলী ভট্টচার্য্য, জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবহান কেজি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এম. দুলাল মিয়া ও ইমরান সাদেকসহ স্থানীয় সচেতন অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্তে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ
কক্সবাজারের ১৭ বিজিবির উদ্যোগে উখিয়ার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্র“ ও বাইশপারী এলাকার ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র উপজাতি ও সহস্রাধিক বাঙ্গালীদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্ণেল খালেকুজ্জামান পিএসসি, ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম, উপ-অধিনায়ক মেজর ইমরান উল¬াহ সরকার, কক্সবাজার বিজিবির স্টাফ অফিসার মেজর আমিনুল ইসলাম ও বাইশপারি বিওপির নায়েক সুবেদার জহিরুল হোসেন এবং ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দরিদ্র শীতার্থ মানুষের মাঝে বিজিবি এ শীত বস্ত্র বিতরণ করেন। শীত বস্ত্র বিতরণ শেষে সেক্টর কমান্ডার খালেকুজ্জান পিএসসি সীমান্তের ঘুমধুম ও তুমব্র“ বিওপি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, বিজিবি বর্তমানে একটি আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তবে যানবাহন ও লোকবল সংকটের কারণে সীমান্তের এ অরক্ষিত বিশাল অঞ্চল পাহারা দিয়ে চোরাচালান ও ইয়াবা প্রতিরোধ এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো বিজিবি একার পক্ষে কখনো সম্ভব নয়। তবে এলাকার জনসাধারণের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে সীমান্তের চোরাচালান বন্ধের বিজিবি আরো কঠোর অবস্থানে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই