কিশোরগঞ্জে সংস্কারের অভাবে বিবর্ণ হয়ে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন কেশবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সংস্কারের অভাবে বিবর্ণ হয়ে পড়েছে।

২০১৩ সালে ল্যাট্রিন মেরামত (সংস্কার) জন্য ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দের পর অদ্যাবধি সরকারী কোন বরাদ্দ স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। স্কুলটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাশের প্রতি মন দিতে পারছে না। সরকার প্রতিবছর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দ দিলেও দক্ষিন কেশবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন বরাদ্দ আসেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অফিস কক্ষটির ভিতরে ছাদের উপরে ভবনের ফাটল ধরেছে। অফিস ছাড়া কোন কক্ষের দরজা জানালা ভাল নেই। ৪র্থ শ্রেণীর কক্ষটির সামনের বারান্দায় কোন জানালা না থাকায় প্রতিদিন স্কুলের ভিতরে ধুলাবালিসহ নানান প্রকার ময়লা আবর্জনা ক্লাশে পড়ে থাকে। আর এসব ময়লার মাঝে ক্লাশ করতে হয় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদেরকে।

দক্ষিন কেশবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি উপজেলা সদরের প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ার পরেও শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ক্লাশে মনোনিবাসে রয়েছে যথেষ্ট প্রবল ইচ্ছা। মোট ১৪৭ জন শিক্ষার্থী ও ৪জন শিক্ষক শিক্ষিকার মাধ্যমে নিরলস প্রচেষ্টায় চলছে স্কুলটি।

এ ব্যাপারে দক্ষিন কেশবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আকবর জানান, ২০১৩ সালে স্কুলের ল্যাট্রিন সংস্কারের জন্য শুধুমাত্র ১৫হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছি এবং সেই টাকায় ল্যাট্রিন সংস্কার করেছে। সরকারী ভাবে স্কুলের জন্য সংস্কারের বরাদ্দ খুবই জরুরী। ক্লাশের দরজা জানালা না থাকায় প্রতিদিন ক্লাশের ভিতর ময়লা আবর্জনা পরছে। যার ফলে ছোট ছোট শিশুদের কাপড় ময়লা হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান বলেন, দক্ষিন কেশবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে কয়েকদিনের মধ্যে স্কুলের কাজ শুরু করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই