পুুলিশ প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা

কিশোরগঞ্জে এক গ্রাম পুলিশের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এক গ্রাম পুলিশের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। অভিযোগে জানা গেছে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে মোঃ মমিনুর রহমানের পরিবারের লোকজনদের প্রতি প্রায়ই উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম গ্রামের পুচু মাহমুদের পুত্র গ্রাম পুলিশ (চকিদার) ও তার ভাতিজি জামাই বিশিষ্ট দাদন ব্যবসায়ী মোঃ কালাম হোসেন অত্যাচার করে আসিতেছেন।

ঘটনার দিন ২১/০৩/২০১৫ইং তারিখে মমিনুর রহমানের স্ত্রী নুরজাহান বেগম রাস্তা দিয়ে আসতে থাকলে গ্রাম পুলিশ মকমাল হোসেন সহ তার দলবল নিয়ে তাকে আক্রমন করে টেনে হেচরে বাড়ী নিয়ে যান তাকে বাঁচাতে গিয়ে বউ মা সপ্না বেগম জাও মাহমুদা বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে।

এ ঘটনায় মমিনুর রহমানের স্ত্রী নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে গত ২৩/০৩/২০১৫ইং তারিখে থানায় সাধারন ডায়রী করেন ডায়রী নং-৬১১৫। পরে নিজেকে বাঁচার জন্য গ্রাম পুলিশের পরামর্শে দাদন ব্যবসায়ী কালাম হোসেনের স্ত্রী বিজলী বেগমের নিকট থেকে মমিনুর রহমান নাকী টাকা নিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছে বলে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ।

সরেজমিনে গিয়ে অত্র এলাকার বাসিন্দা বাবলু, রাজা মিয়া, ও আহেনা বেগম সংবাদদাতাকে জানান কালাম হোসেন এলাকার একজন বিশিষ্ট দাদন ব্যবসায়ী তিনি এলাকার সহজ সরল নিরহ মানুষদের কে সুদের টাকা দিয়ে সর্বশান্ত করেছেন তার সুদের টাকা নিয়ে লাভের টাকা দিতে না পারায় তার ভয়ে অনেকে এলাকা ছেড়েছেন, তেনারা আরো জানান গ্রাম পুলিশ মকমাল হোসেন ঐ এলাকার একজন ত্রাস তিনি গ্রাম পুলিশের দাপট দেখিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে গাড়াগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান বাবু বিপ্লব কুমার সরকারের সাথে এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি জানান এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ আমাকে কেউ করেন নি তবে বিষয়টি গ্রাম পুলিশ আমাকে জানিয়েছেন। একজন আইনের লোক হয়ে বেআইনি কাজের সাথে জড়িত থাকে কিভাবে বিষয়টি সচেতন মহলের প্রশ্ন। তাই গ্রাম পুলিশ মকমাল হোসেনের এহেন অপকর্ম তদান্ত করতে পুলিশ প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।



মন্তব্য চালু নেই