যেভাবে সুন্দরী নারীর খপ্পরে পুলিশ কর্মকর্তা !

পুরুষ শিকারী এক সুন্দরী নারীর খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে  ডোমার থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তার তৎকালীন কর্মস্থল নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায়।

জানা যায়, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম গ্রামের তহির উদ্দিনের কন্যা বিয়ে ব্যাবসায়ী পুরুষ শিকারী তহুজা আক্তার (২৩)। ছোট বেলা হতে সে দেখতে সুশ্রী হওয়ায় অল্প বয়সে পারিবারিক ভাবে পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার জনৈক মিজানুর রহমানের সাথে তার বিয়ে দেয়।

বিয়ের পর এক পুরুষে মন না ভরায় দুই বছরের মাথায় ২০০৫ সালে তহুজা আবারো প্রেম করে বিয়ে করেন গাজীপুর জেলার আবু সায়েম নামের এক সৌদি প্রবাসীকে। বিয়ের পর ২০০৬ সালে দুজনে সৌদি আরবে চলে যায়। এ স্বামীর ঘরে তার ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ৪ বছরের মাথায় তহুজা এ স্বামীর ঘর ভেঙ্গে দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকে তালাক দেন। এরপর দেশে ফিরে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী মাগুড়া ইউনিয়নের পুষনা গ্রামের আহাদুল নামের একজনকে।

বছর খানেকের মাথায় ২০১২ সালে তৃতীয় স্বামী আহাদুলের নামে গাজীপুর জেলা জজ আদালতে নারী নির্যাতন মামলা করেন। এ মামলায় আদালত আহাদুলের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন। আদালতের নির্দেশ পালন করতে মামলার সুত্র ধরে কিশোরগঞ্জ থানার কর্মরত তৎকালীন এএসআই আব্দুর রউফ আহাদুলের সন্ধান করতে থাকেন। এ সুবাদে তহুজার সাথে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ এর পরিচয় হয়। এরপর সে ঢাকায় বদলী হয়ে চলে যায়।

ঢাকায় অবস্থানকালে আহাদুলের সন্ধানের কথা বলে বিয়ে পাগল তহুজা ঢাকার ভাড়া বাড়ীতে ডেকে নেয় রউফকে। এখানে তাকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করতে বাধ্য করে পুরুষ শিকারী তহুজা। চাকরী ও সম্মান বাচাতে আব্দুর রউফ তহুজা’র সকল অন্যায় দাবী মেনে নিয়ে তাকে বিয়ে করলেও তা বেশী দিন টিকেনি।

বিয়ের এক মাসের মাথায় ২০১৩ সালের অগাষ্ট মাসে তহুজাকে তালাক দেয়। তালাকের পরেও সেই বিয়ের সুত্র ধরে তহুজা পুলিশ বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ দাখিলের পাশাপাশি নীলফামারী আদালতে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রউফের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন নাশিনি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেয়। আদালতের মামলাটি জুডিসিয়াল তদন্তে যথার্থতা না পাওয়ায় অগ্রহনযোগ্য হয়। পূনরায় তদন্তের আপিল করায় আদালত কিশোরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পুনঃ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

এব্যাপারে তহুজা তার পূর্বের কিছু ঘটনা অস্বীকার করলেও অধিকাংশ ব্যাপারে কোন জবাব না দিয়েই জানান, রউফ তার স্বামী তিনি তার দেয়া তালাকনামাকে স্বীকার করেননা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের জানান, তাকে কৌশলে বিয়ে করতে তহুজা বাধ্য করলেও তিনি এক মাসের মাথায় তালাক দেন, এরপর তাকে বিভাগীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয় এবং নানাভাবে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ করে তিনি এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন।

[ ছবিটা প্রতীকী ]



মন্তব্য চালু নেই