কিশোরগঞ্জে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক ॥ বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আলু চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেকটি কৃষক আলু চাষ করে অধিক মুনাফা লাভ করতে পারবে।

গত বছরের তুলনায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এবার ২৫শ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। গত বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রায় ১৯-২০শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। কিন্তু ভাল ফলন হওয়ার পরেও উপজেলার বেশীর ভাগ কৃষক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আলু উপজেলার বাহিরে রপ্তানি করতে না পেয়ে আলুতে লোকসান গুনেছে।

এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এবং আলুর বীজ ভাল পাওয়ায় খুব খুশি মনে আলু চাষে ঝোক দিয়েছে উপজেলার কৃষক। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের কৃষক হারুন-অর রশিদ জানান,এবার ১৪বিঘা জমিতে আলু চাষ করবো। মুক্তা হিমাগারে আলুর বীজ রেখে বীজের মান ভাল পেয়েছি।

আমার বীজের কোন সমস্যা নেই।জমিতে প্রতিদিন ২০-২৫জন করে কৃষক আলু চাষের জন্য কাজ করছেন। তবে আবহাওয়া ভাল থাকলে গতবারের তুলনায় এবার পর্যাপ্ত লাভের আশা করছি। এবং গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে পড়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে।

এবার আশা করছি কোন ধরণের সমস্যা না হলে আলুতে খরচের চেয়ে দ্বিগুন লাভ হবে। বাহাগিলী ইউনিয়নের কৃষক দুলাল হোসেন বিডিআর ও ঢেমসা মিয়া জানান,গত বছরের মত এবারও একই পরিমান জমিতে আলু চাষ করবো আবহাওয়া ভাল থাকলে আল্লাহর রহমতে গতবারে লোকসানসহ এবার দ্বিগুন লাভ হবে।

সাংবাদিকরা আলুর বীজের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুলাল হোসেন জানান, আমি মুক্তা হিমাগারে বীজের জন্য আলু রেখেছিলাম আল্লাহর রহমতে আমার বীজের কোন পচন সমস্য দেখা দেয়নি এবং আলুর বীজ ভাল অবস্থায় পেয়েছি।

তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন,আমাদেরকে প্রতিবছর অধিক পরিমান আলুর বীজ হিমাগারে রাখতে হয়। কিন্ত মুক্তা হিমাগারের ইউনিট কিশোরগঞ্জে আরও ১টি হলে আলু সংরক্ষনে কৃষকরা আলু চাষ করে স্বস্তি পেত। অপর দিকে আলু চাষের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ সহযোগীতা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য প্রতিদিন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের ব্লক সুপার ভাইজার লিয়াকত আলী জানান,এবারে উপজেলার আলু চাষিরা যেভাবে আলু চাষে ঝোক দিয়েছেন তাতে নীলফামারী জেলার মানুষের আলুর চাহিদা পুরণ করেও ঢাকায় কয়েক হাজার মেট্্িরকটন আলু রপ্তানি করতে পারবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এনামুল হক জানান,গত বছরে এই উপজেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ছিল ১৯-২০শ হেক্টর জমিতে এবার প্রায় ৫শ হেক্টর জমিতে গত বছরের তুলনায় বেশী আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের সার্বিক সহযোগীতা পেলে এই উপজেলার আলু চাষিরা আলু চাষের জন্য আরও অগ্রণী ভুমিকা পালন করে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই