কিন্ডার গার্ডেন মুখী হয়ে পড়ছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা

কিন্ডার গার্ডেন মুখী হয়ে পড়ছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। আগে কেবল শহরে থাকলেও কিন্ডারগার্ডেন এখন ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামগঞ্জে। বেসরকারি উদ্যেগে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই চলছে অনুমোদন ছাড়া।

অভিভাবকরা বলছেন সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে আস্থা কমে যাওয়ায় ভিন্ন পথে ছুঁটছেন তারা।

নীতিনির্ধারকেরা বলছেন অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের আওতায় আনবেন তারা।

গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকার আদর্শ ভাওয়াল বিদ্যানিকেতন। শিক্ষার্থী ১শ’ ৫০ জন। শিক্ষদের কেউই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। একটু দূরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও অভিভাবকদের আস্থা অনুমোদনহীন এই কিন্ডারগার্ডেনেই।

আদর্শ ভাওয়াল বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক বাবু রসময় মন্ডল বলেন, ‘তেমন কোন অনুমোদন আমাদের কারো নেই। হয়তো গাজীপুরের দু-একটা স্কুলের থাকতে পারে’।

একই কথা প্রযোজ্য বরিশালের লিটল স্টার কিন্ডারগার্ডেনের ক্ষেত্রেও। নিয়ম কাননের কড়াকড়ি এবং ইউনিফর্ম চালু থাকায় কিন্ডারগার্ডেনমুখী হচ্ছেন অনেক অভিভাবক।

কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষকদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ বা গৃহিনী। বেতন গড়ে দৈনিক ১শ’ টাকা।

দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে কিন্ডারগার্ডেন। গাইবান্ধার ফুলছড়ি মেধাকুঞ্জ বিদ্যালয়ে পড়তে আসা ৬ জনের বাবা-মা শিক্ষকতা করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

অনেকে কিন্ডারগার্ডেন মাদ্রাসাও চালু করেছেন। বাহারি নামে গড়ে তোলা ক্যাডেট মাদরাসায় খরচ বেশি। শিশুদের বাইরে থেকে বই কিনতে হয়।

শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘শিক্ষার নামে ব্যবসা করা হচ্ছে। অনেক কোচিংয়ে ব্যবসা হচ্ছে, কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে ব্যবসা হচ্ছে। সবকিছু মিলেই সেখান থকে ব্যবসা হচ্ছে’।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে এগুলো হচ্ছে বলে আমার ধারণা। সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ইতিমধ্যে ইমনিটরিং নিয়ে কাজ করছি’।

নীতিনির্ধারকেরা জানালেন অনুমোদনহীন কিন্ডারগার্ডেন বন্ধে অচিরেই শুরু হবে অভিযান।

সূত্র: যমুনা টিভি



মন্তব্য চালু নেই