কাল আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা

অসুস্থতার কারণে আগামীকাল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী সালাহউদ্দিন মিয়া এ কথা জানিয়েছেন।

গত সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ১০ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করেন। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্যও তারিখ রেখেছেন বিচারক।

বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তর প্যারেড মাঠে বিশেষ এজলাসে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির এ দুই মামলার বিচার চলছে।

সোমবার খালেদা জিয়া সকাল সোয়া ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আদালতে আসেন। তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করেন।

অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদীর জবানবন্দী বাতিল করে নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন খালেদা। কিন্তু গত ৬ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়। নথিপত্র না পাওয়ায় ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেননি জানিয়ে এ মামলার শুনানির আগে সোমবার সময়ের আবেদন করেন খন্দকার মাহবুব। পাশাপাশি ২৬ আগস্ট বার কাউন্সিল নির্বাচনের আগে ব্যস্ততার কথা তুলে ধরে পরে শুনানির তারিখ রাখতে আদালতকে অনুরোধ করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব।

এ সময় বিচারক বলেন, প্রধান বিচারপতি সব মামলা তাড়াতাড়ি শেষ করতে বলেছেন এবং জেরা শুরু হলে নিয়ম অনুযায়ী তা শেষ করতে হয়। আমি এক সপ্তাহ সময় দিতে পারি। পরে তিনি ১০ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন রেখে শুনানি মুলতবি করেন।

এদিন বিচারক মামলায় জেরার অংশ হবহু গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করার পাশাপাশি সংবাদ প্রকাশে নৈতিকতা মানার কথা বলেন।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অন্য মামলাটি দায়ের করে। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশী ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।



মন্তব্য চালু নেই