কারাগারে বন্দির সংখ্যা ধারণক্ষমতার তিনগুণ

দেশের অধিকাংশ কারাগারে বন্দির সংখ্যা ধারণক্ষমতার তিনগুণ বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদে মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের (খুলনা-২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

প্রচলিত জেলকোড অনুযায়ী, প্রতি বন্দির শোবার জায়গা ৩৬ বর্গফুট হিসেবে কারাগারে ধারণক্ষমতা নির্ধারিত করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার কারাগারে অব্যবস্থাপনা দূর ও সেবার মান বৃদ্ধি করতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে। বন্দি আবাসন সংকট নিরসনে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কারাগার পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জ (মহিলা কারাগার), ফেনী, মাদারীপুর, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট ও খুলনায় কারাগার নির্মাণ কাজ চলছে।’

ময়মনসিংহ কারাগার পুনঃনির্মাণ কাজ সহসাই শুরু হবে। এছাড়া কুমিল্লা, যশোর, রংপুর, ফরিদপুর, পাবনা কারাগারও পুনঃনির্মাণে প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর (সিলেট-৩) এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ৪৪২৭ কি.মি. সীমান্তের মধ্যে ৪১৫৬ কি.মি. ভারতের সঙ্গে এবং ২৭১ কি.মি. মিয়ারমারের সঙ্গে। তবে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত এলাকা চিহ্ণিতকরণ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।’

ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দল বা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হবে।

দেশের প্রচলিত আইনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার চলতে পারে। তবে আপাততঃ বিশেষ কোনো আইন করার প্রয়োজন নেই বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই