কারাগারে কামারুজ্জামানের পাঁচ আইনজীবী

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন তার পাঁচ আইনজীবীরা।

কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি করবেন না- এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটকে প্রবেশ করেন।

বেলা ১১টায় অ্যাডভোকেট শিশির মনিরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আইনজীবী কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষােৎ করবেন। কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার লাভলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল কামারুজ্জামানের আইনজীবী শিশির মনির জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন বিষয়ে কামারুজ্জামানের সঙ্গে পরামর্শের জন্য তারা আগেই কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। তাদের নাকচ করে দেওয়া হয়। পরে কামারুজ্জামান কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চাইলে তার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে রায় পড়ে শোনানো হয়। সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী রায় পড়ে শোনান।

এরপর আইজি (প্রিজন) ব্রি. জেনারেল এফতেখার উদ্দিনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানান তিনি। সেখান থেকে কারাগারে ফিরে আসেন ফরমান আলী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলার নেছার আলী।

গতকাল বুধবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবতাবুজ্জামানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছায়।

সুপ্রিম কোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান ওইদিন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবতাবুজ্জামানের কাছে রায়ের কপি হস্তান্তর করেন। ট্রাইব্যুনাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগারের আইজি প্রিজন এবং ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।

বুধবারই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চার বিচারপতি রায়ের কপিতে স্বাক্ষর করেন।

আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর কামারুজ্জামানকে কারা কর্তৃপক্ষ আদেশটি পড়ে শোনাবেন এবং তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে চান কি না, তা জানতে চাইবেন। কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা না চাইলে এরপর যেকোনো সময় দণ্ড কার্যকর করা যাবে।

সোমবার কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

২০১৩ সালের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একাত্তরে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে এই আদেশ দেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই