কারওয়ান বাজার পুরো এলাকাই ঝুঁকিপূর্ণ

কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে এনবিএল (ন্যাশনাল ব্যাংক) টুইন টাওয়ার নির্মাণের জায়গা থেকে ১৫ লাখ সিএফটি মাটি সরিয়ে ফেলার কারণে ওই এলাকার পুরো অংশই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সার্ক ফোয়ারার আশেপাশের রাস্তা, বিল্ডিংসহ অন্যান্য স্থাপনাও এ ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে নির্মাণাধীন ওই ভবনের সামনের রাস্তার অনেকটা অংশ ধসে পড়েছে। সার্ক ফোয়ারার আশেপাশের মূল রাস্তাগুলোতেও ছোট ছোট অনেক ফাটল দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে ১৫ লাখ সিএফটি মাটি সরিয়ে ফেলার তথ্য প্রকাশ করে।

বুধবার দিনভর মেয়র আনিসুল হক বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে করনীয় ঠিক করতে দফায় দফায় বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে রাজউক, সেনাবাহিনী, বুয়েট সিটি করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারগন উপস্থিত ছিলেন।

দুর্ঘনাস্থলের আশেপাশের ভবন ও সড়কগুলোকে কিভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। সেই অনুযায়ী এক হাজার ট্রাক বালু ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। যার মধ্যে ৫০০ ট্রাক বালু বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ফেলার কথা হয়।

কিন্তু আজ সকালে দেখা যায়, ৫০০ গাড়ি বালু ফেলার আগেই সেখানে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। সেখানকার আশেপাশে গ্যাস পাইপ ও পানির পাইপ ফেটে যায়। মাটি দেবে যায়। ফলে এক ধরনের আশঙ্কা দেখা দেয়। কিছুক্ষণের জন্য বালু ফেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর পরিকল্পনায় আবারও বালু ফেলার কাজ শুরু হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেয়র আনিসুল হক বলেন, আজকের মধ্যেই বালু ফেলার কাজ শেষ করা হবে। বালু ফেলার কাজ করতে পারলে আশেপাশের সড়কগুলোর ঝুঁকি কমে যাবে। বৃষ্টি না হলে এ ঝুঁকি একেবারেই সম্ভবনা থাকবে না। কিন্তু ভারি বৃষ্টি হলে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ত্রুটি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের কোনো গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সুন্দরবন হোটেলটিকে কিভাবে অক্ষত রাখা যায় তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ৮টার দিকে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত সুন্দরবন হোটেলের পাশে নির্মাণাধীন এনবিএল টাওয়ারের পাইলিং ধসে যায়। এ সময় পাশের সড়কের কিছু অংশও ধসে পড়ে। সুন্দরবন হোটেলের সামনের নিচের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



মন্তব্য চালু নেই