নিহতদের মধ্যে ঘটনাস্থলে দুইজন এবং বাকিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজনের নাম মজিবুর রহমান (৫০), তিনি গার্মেন্ট পার্টস ব্যবসায়ী। তার বাসা মিরপুরে। অপরজন নাইম ইসলাম। সে মুগদার একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণীতে পড়তো বলে তার খালাত ভাই মাহফুজ জানিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেলে লাশ শনাক্তের পর তিনি জানান, নাইমের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ। বাবার নাম ইউনুস আলী। অপরজন আলমগীর (৫০)। আলমগীর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তবে বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো মিলেনি। বর্তমানে অজ্ঞাত এক তরুণীসহ তিনজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। তারা সবাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ট্রেন দুপুর ১টায় আইসিডি টার্মিনালের প্রবেশ পথে এন এস সার্ভিস লিমিটেডের একটি কাভার্ড ভ্যানকে (ঢাকা মেট্রো-১১-৮৮৫০) ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে রেলের লোকজন দাবি করেছেন, কাভার্ড ভ্যানটিই ইঞ্জিনের পেছনের বগিতে আঘাত হানে। কাভার্ড ভ্যানের প্রচণ্ড ধাক্কায় ইঞ্জিনের পেছনের বগিটি লাইনচ্যুত হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে বগিটি।
দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনার পর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন।
চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটির সিনিয়র অফিসার রমজান আলী জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে কমলাপুরে আসছিল। ট্রেনটি শানটিং গেট দিয়ে টার্মিনালে প্রবেশের সময় বিপরীত দিকে আসা এনএস কার্গো কন্টেইনার সিগনাল অমান্য করে ওই গেটে ঢুকে পড়ে।
কমলাপুরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ট্রেনের ৫ যাত্রী নিহতরেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, ট্রেনটি তার স্বাভাবিক গতিতেই স্টেশনে ঢুকছিল। কিন্তু কাভার্ড ভ্যানটি ট্রেনটির ইঞ্জিনের পরের বগির মাঝখানে আঘাত হানে। এতে বগিটি উল্টে যায়। ট্রেনটি চলমান থাকায় তা প্রায় ৭৫ ফুট সামনের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতাল থাকার কারণে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ট্রেনটিতে প্রচুর যাত্রী ছিল। সেই সঙ্গে ইঞ্জিনের চারপাশেও ছিল প্রচুর যাত্রী।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই