কাজে নেমে পড়েছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য কাজে নেমে পড়েছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। নিজ নিজ উৎস থেকে নাম সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। যদিও নবগঠিত এই সার্চ কমিটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেনি। শনিবার বা রোববার প্রথম বৈঠক করতে পারে বলে জানিয়েছেন সার্চ কমিটির দুজন সদস্য।

নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজতে ২০১২ সালের মতো এবারও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। সার্চ কমিটির সদস্যরা তাঁকে ই-মেইল অথবা চিঠি দিয়ে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন।

কবে থেকে আপনারা কাজ শুরু করবেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্চ কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সবেমাত্র সার্চ কমিটি গঠন করা হলো। আজ তো সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে বৈঠক করব। তবে এর আগে হোমওয়ার্ক করে নেব।’

সার্চ কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম সংগ্রহ করবেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁরা খোঁজ নিচ্ছেন। প্রথম বৈঠকে যেন কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা করা যায়, সে জন্য কিছু কাজ এগিয়ে রাখার কাজ শুরু করছেন। গতবারের সার্চ কমিটি কীভাবে কাজ করেছিল, সেটাও তাঁরা বিবেচনায় নিচ্ছেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে সার্চ কমিটির ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন এর সদস্যরা। সার্চ কমিটির সদস্য ও মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো কিছু করতে চাই। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সেটা আমরা করব। আমরা আমাদের বিশ্বাস, দক্ষতা ও নৈতিকতা অনুযায়ী কাজ করব।’

মন্ত্রিপরিষদের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সার্চ কমিটি কমপক্ষে একজন নারীসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে বাছাই করা নামসহ সুপারিশ করতে হবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এবারই ইসিতে কমপক্ষে একজন নারী কমিশনার থাকবেন। সর্বোচ্চ পাঁচজনকে নির্বাচন পরিচালনাকারী সাংবিধানিক সংস্থার দায়িত্বভার অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপ্রধান। এর মধ্যে একজন হবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বাকিরা নির্বাচন কমিশনার।

গতবার অর্থাৎ ২০১২ সালেও ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ জমা দিতে সার্চ কমিটিকে বলা হয়েছিল। তারা সিইসি পদের জন্য দুজন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও আলী ইমাম মজুমদারের নাম প্রস্তাব করে। তাঁদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সাবেক সচিব কাজী রকিবউদ্দীনকে সিইসি করেছিলেন।

গতবার সার্চ কমিটি গঠনের পরপরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচটি নাম পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছিল। সেই সঙ্গে সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সব মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের নামের তালিকাও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চেয়েছিল গতবারের সার্চ কমিটি। একজন কমিশনার বাদে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।খবর প্রথম আলো’র।



মন্তব্য চালু নেই