কলেজ ভর্তিতে অপেক্ষমান মেধাতালিকা শুক্রবার

মূল তালিকার পর শূন্য আসনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে শুক্রবার (২৪ জুন)।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. আশফাকুস সালেহীন সোমবার (২০ জুন) এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আসনের বিপরীতে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা ধরে ২২ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবেন। এরপর দেখা যাবে অনেক আসন শূন্য রয়েছে। কারণ কোন কোন আবেদনকারী পছন্দের কয়েকটি কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। কিন্তু তিনি তো মাত্র একটিতেই ভর্তি হবেন।’

আশফাকুস সালেহীন আরও বলেন, ‘আবেদনকারী বাকি শিক্ষার্থীদের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। ২৪ জুন অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৫ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত অপেক্ষমান তালিকা ধরে শূন্য আসনে ভর্তি করা হবে।’

গত ১৬ জুন আসনের বিপরীতে কলেজে ভর্তির মেধা তালিকা (মূল তালিকা) প্রকাশ করা হয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি থেকে জানা গেছে, আসনের বিপরীতে ৯ লাখ ৬০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হন। তিন লাখ ২০ হাজারের মতো আবেদনকারী অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন।

ভর্তির ওয়েবসাইট www.xiclassadmission.gov.bd এ লগইন করে শিক্ষার্থীর নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, গ্রুপ/শিফট/ভার্সন ভিত্তিক অপেক্ষমান মেধাক্রম ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী পাস করে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন। এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি।

কলেজে ২১ লাখ ১৪ হাজার ২৫৬টি আসন আছে। এতে সাত লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে বলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত ভর্তির সময়সূচি অনুযায়ী, অবশিষ্ট আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির সময় ২৮ থেকে ৩০ জুন। ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই। বিলম্ব ফি দিয়ে ১০ থেকে ২০ জুনের মধ্যে ভর্তি হওয়া যাবে।

কলেজে ভর্তিতে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় গত ২৬ মে। ১০ জুন পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হয়। টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন ফি জমা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট অথবা এসএমএস করে একাদশে ভর্তির আবেদন করেন।

আবেদনকারী ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনলাইনে নয় লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৭ জন এবং এসএমএসে চার লাখ পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন আবেদন করেন।

এছাড়া ভর্তিতে আবেদন পড়েছে ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ১৪০টি। এরমধ্যে অনলাইনে ৪০ লাখ ৪৯ হাজারর ৭৮০টি এবং এসএমএসে চার লাখ ৪২ হাজার ৩৬০টি আবেদন জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এবার ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কেউ আবেদন করেননি।

কলেজে ভর্তিতে অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরও ১০টিসহ মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ ছিল। একজন আবেদনকারী যতগুলো কলেজকে তার পছন্দক্রমে রেখেছেন, সার্ভারে ততটি আবেদন হিসাব করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই