কর্পোরেট টিপসঃ আপনার বস যদি হয় অত্যাচারী? যা করতে হবে আপনাকে

কর্মক্ষেত্রে বস কি প্রায়ই আপনার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে ওঠেন? মাঝে মধ্যেই উপহাস করেন? অথবা ভয় দেখান? নতুন এক গবেষণা বলছে, এর প্রতিবাদে প্রতিক্রিয়া জানালে কর্মীদের মানসিক যন্ত্রণা কমে আসে। তবে গবেষণায় উপদেশ দেওয়া হয়েছে, এ ক্ষেত্রে স্রেফ তাকে এড়িয়ে যান। এতে করে আপনিই কোনো বাজে পরিস্থিতিতে পড়বেন না। আমেরিকার ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর বেনেট টেপারের নতুন এই গবেষণায় বলা হয়, বসদের চোখ রাঙানিকে ভয় না পেয়ে উল্টো প্রতিবাদ জানালে তখন কর্মীরা কম মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন। এতে পরিস্থিতির কর্মীর মাঝে তৃপ্তি আসে। কিন্তু বস যদি ব্যাপক রাগী হয়ে থাকেন, তবে সেখানে প্রতিশোধপরায়ণ না হয়ে কর্মীরা ঠাণ্ডা মেজাজ ধরে রাখলে ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে।টেপার আরো বলেন, এসব পরিস্থিতিতে কর্মীরা বসের বকুনিকে এভাবে চিন্তা করতে পারেন যে, বস যা করছেন তা আসলে আপনাকে হেনস্থা বা অপমান করতে চাইছেন। সেখানে বসের সঙ্গে যুদ্ধে লেগে পড়লে আপনি আসলে তার শিকার হয়ে গেলেন। কিন্তু একে গায়ে না মাখলে বসকে শুধু বলেই ক্ষান্ত হতে হবে। আর কিছু করার নেই তার।’পারসোনালিটি সাইকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি। দুটো ভিন্ন পরীক্ষায় গবেষণা কাজ শেষ করা হয়।প্রথমে এক দল অংশগ্রহণকারীকে বসের এমন আচরণকে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। দেখা যায়, বসের এমন আচরণের প্রতিবাদে কর্মীরা চুপচাপ থাকলে তারা মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।দ্বিতীয় পর্যায়ে তারা একটি অনলাইন জরিপ চালান। সেখানেও দেখা যায়, যারা বসের আচরণের প্রতিবাদ করার পর কর্মীরা নিজেকে তার আক্রোশের শিকার বলে মনে করেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব মানসিকতার কারণেই বসের সঙ্গে ঝামেলা বাড়তেই থাকে। আর তা কর্মজীবনের জন্যে ভালো সংবাদ নয়। আসল পদ্ধতি হলো, বসের এই আচরণের শিকার না হওয়া এবং এ থেকে বেরিয়ে আসতে কৌশলী উপায় অবলম্বন করা।



মন্তব্য চালু নেই