কথিত স্ত্রী নিয়ে ৩ বন্ধুর খুনোখুনি!
এক বন্ধুর কথিত স্ত্রীকে নিয়ে বিরোধে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে রুবেল (৩২) নামে এক বন্ধু নিহত ও আহত হয়েছে আরেক বন্ধু। ঘাতক আল আমিনকে কথিত স্ত্রীসহ পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
বুধবার রাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার সামবকশি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাকাটি গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। আহত শ্রমিক কামাল হোসেনের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার উত্তম শ্যামপুর গ্রামে। তারা দু’জন আরকু গ্রুপ অব কোম্পানির লালমাই ফুটওয়ারে কর্মরত শ্রমিক।
ঘাতক আল আমিন বাড়ি বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার কথিত স্ত্রী ফারজানা আক্তার সদর উপজেলার ইটাল্লা গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় আল আমিন তার কথিত স্ত্রী একই কোম্পানিতে কর্মরত নারী শ্রমিক ফারজানাকে স্ত্রী দাবি করে তার কক্ষে নিয়ে আসে। আল আমিন তার কথিত স্ত্রীকে নিয়ে মেসে রাত যাপন করতে চায়। কিন্তু পুরুষদের মেসে নারী নিয়ে থাকা যাবে না বলে বাধা দেয় একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আল আমিনের বন্ধু রুবেল মিয়া ও কামাল হোসেন। এতে করে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ঘাতক আল আমিন ছুরি দিয়ে রুবেল মিয়াকে বুকের বামপাশে আঘাত করে। ছুরিকাঘাতে আহত রুবেল মিয়া মাটিয়ে লুটিয়ে পরে।
এ সময় সংঘর্ষ মীমাংসা করতে আসা অপর শ্রমিক কামাল হোসেনকেও ছুরিকাঘাত করে আল আমিন। গুরুতর আহত দুই শ্রমিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রুবেল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত কামাল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লালমাই ফুটওয়্যার প্রোডাকশন ম্যানেজার এমএস আলী নয়ন জানান, নিহত রুবেল ও আহত কামাল ও ঘাতক আলামিন সবাই লালমাই ফুটওয়ারে প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছেন।
সদর দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আইয়ুব হোসেন জানান, এক শ্রমিকের হাতে আরেক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক আল আমিন ও কথিত স্ত্রী ফারজানাকে আটক করা হয়েছে। আল আমিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তবে তিনি ফারজানাকে স্ত্রী বলে দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রশান্ত পাল ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য চালু নেই