ঔষধের দোকানে চলে ডাক বিভাগের কার্যক্রম!
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি বাজারের ডাকঘরটির সরঞ্জাম ব্যক্তিগত ব্যবসার কাজে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় সেবা বঞ্চিত এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাক বিভাগের ব্যবহৃত কম্পিউটার, সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম, প্যানেলসহ যাবতীয় সরঞ্জাম পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে নিজের ঔষধের দোকানে ব্যবহার করছেন। আর ঔষধের দোকানে বসেই পোস্ট মাস্টারের দায়িত্ব দায়সারাভাবে পালন করছেন। ফলে অব্যবহৃত ডাকঘর রুগ্ন হয়ে পড়েছে। নিয়মিত ডাক বিভাগের চিঠি আদান-প্রদানসহ যাবতীয় কাজেরও কোনো গতি নেই। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি এলাকাবাসী।
মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার উজির আলী বলেন, পোস্ট অফিসের একটি পাকা টিনশেড ঘর আছে কিন্তু তিনি সে ঘর ব্যবহার হচ্ছে কি-না তা আমি জানি না।
পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ বলছেন, ডাক বিভাগের অবকাঠামো ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় সেখানে বসে সেবা দেয়া সম্ভব নয়। অফিসের জানালা ভাঙ্গা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই ঘরটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আমি দোকানে বসে কাজ করি, এই উপজেলার কাচনাসহ অনেক ডাকঘরের কাজ বাড়িতেই বসে করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সবই জানে। এরকম নিয়ম আছে, না হলে তো এতোদিন চালাতে পারতাম না।
অভিযোগকারীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কতিপয় লোক ষড়যন্ত্র করছে।
মোল্লাহাট উপজেলা পোস্ট মাস্টার ভানু দাস বলেন, বিষয়গুলো পরিদর্শন করে দেখার দায়িত্ব আমার। তবে এ বিষয়টি এতোদিন আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই