‘ওরা মেয়রকে কন্ট্রোল করতে চায়, ওদের মাস্তানি বন্ধ করে দিয়েছি’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম অনেক কিছুর। যখন কমিটমেন্ট করি তখন জানতামই না, মেয়য়ের ক্ষমতা কতটুকু! যেগুলো অনেকেই মেয়রের কাছে আশা করে তার অনেক কিছুই মেয়রের এখতিয়ারে নেই। দায়িত্বের প্রথম দিনই বুঝতে পেরেছিলাম, ওরা (রাজনৈতিক প্রভাবশালী) আমাকে কন্ট্রোল করতে চায়। ওদের মাস্তানি বন্ধ করে দিয়েছি। যতটুকু ক্ষমতা আছে তা দিয়েই নগরীর উন্নয়ন করছি।’

উত্তরের মেয়র আরো বলেন, ‘কাউন্সিলররা কন্ট্রাকটারের কাছ থেকে চাঁদা নিবে, ইঞ্জিনিয়াররা যাচ্ছে তাই করবে সেই দিন আর এখন নাই। গতকালও একটা কাজে চারটা রড কম ব্যাবহার করায় একজনকে বরখাস্ত করেছি। কাজ করে এখন আর সরকারি অফিসে এসে বিলের জন্য ঘুরতে হয় না, বিলের চেকই তার অফিসে চলে যায়। মাস্তানি বন্ধ করেছি, কাজের মান বাড়িয়েছি।’

আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সভার উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ‘ যানজট, ফুটপাতসহ আরো অনেক কিছুর দায়িত্ব মেয়রের না। কিন্তু মানুষ আশা করে। তাই একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে চলেছি। নিজের এখতিয়ার না থাকা সত্ত্বেও গাবতলি ট্রাক টার্মিনাল সরিয়েছি। এখন সেখানে কোন যানজটইই নেই। অথচ সেখানে আমাকে অবরুদ্ধও করা হয়েছিল সেদিন। এখন ৫ হাজার ইটের মধ্যে ৫০ টি খারাপ হলেও ডিল বাতিল হয়ে যায়। একটা পরিবর্তন আনতে চাই।’

মেয়র বলেন, ‘দখলদার দুই ধরনের। গরীব দখলদার, বড়লোক দখলকার। গরিবদের পুলিশ তাড়ায়, বড়লোকরা পুলিশ তাড়ায়। বড়লোক দখলদাররা খুব মারাত্মক, রাস্তার জায়গা দখল করে বড় বড় অত্যাধুনিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। দু’জন চ্যালেঞ্জ করেছিল, ওদের কিছুই করতে পারবে না কর্পোরেশন। তাই ঐদিনই বোল্ডোজার চালিয়ে দিয়েছি। আমাদের প্রতি ইঞ্চি জায়গা দখল মুক্ত করবো। এখন অনেকেই কথা শুনছেন।’

‘প্রতিদিন আড়াই হাজার টন ময়লা হয় অপসারণ হয় শুধু উত্তর সিটি থেকেই। তাই আমাদের সুন্দর নগরী গড়তে সকলকেই সচেতন হতে হবে। সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগীতা করতে হবে। আগামী দেড় বছরে নগরীতে ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে’ বলেও জানান মেয়র।’

তিনি আরো বলেন, ‘তখন বুঝিনি বিল বোর্ডের পিছনে এত শক্তি কাজ করে। প্রয়োজন হলে রক্ত গঙ্গা বয়ে যাবে বিলবোর্ড উঠবে না, এমন কথাও শুনা গেছে। ২০ হাজার বিলবোর্ড ফেলে দিয়েছি ৪ মাসে।’



মন্তব্য চালু নেই