ওমরার নামে মানবপাচার করলে কঠিন শাস্তি

যারা দেশের সুনাম নষ্ট করেছে এবং ওমরাহর নামে মানবপাচারে জড়িত ছিল তাদেরকে ইতোমধ্যে শাস্তি দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দায়ী এজেন্সিগুলোকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

মঙ্গলবার বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

বেশ কয়েক মাস বন্ধ রাখার পর গতকাল সোমবার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ওমরাহ ভিসা খোলার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, দায়ী ওমরাহ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। গত মাসে ১০৪টি ওমরাহ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আপনাদের অবহিত করি। দায়ী এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সৌদি সরকারকেও আমরা অবহিত করি। বাংলাদেশের ওমরাহযাত্রীদের অনুকূলে ওমরা ভিসা ইস্যুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সংশ্লিষ্ট সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের ওমরাহযাত্রীদের অনুকূলে ভিসা ইস্যুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আমাদের অবহিত করেছে।

তিনি বলেন, ওমরাহ ভিসা ইস্যুর অনুমতিপত্র প্রদান করায় আমি ভ্রাতৃপ্রতিম সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ ও শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে, যিনি সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, তালিকাভুক্ত ৭০টি এজেন্সিই শুধু ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে লোক পাঠাতে পারবে। তবে যদি কেউ ওমরাহ পালনে গিয়ে ফিরে না আসেন তাহলে ওই এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ভবিষ্যতে তা নবায়ন কিংবা লাইসেন্স পাবে না।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীদের একটি অংশ ওমরাহ করতে গিয়ে দেশে ফেরত আসেনি। যার সংখ্যা ১১ হাজার ৪৮৫ জন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব চলতি বছরের থেকে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক ওমরাহযাত্রীদের অনুকূলে ভিসা ইস্যু করেনি।



মন্তব্য চালু নেই