‘ওই যুবককে আটক করেছিল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা’

রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা যুবককে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুলিশ আটক করেছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে এই তথ্য দেয়ার পর তেজগাঁও থানা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না।

ভোরে হাতিরঝিলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎস। তাকে সেখান থেকে হাসপাতাল নেন তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক মাজেদুল ইসলাম। তবে তিনি দাবি করেছেন, ‘একজন লোক আমাকে ফোন দেয়ার পর আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এ বিষয়ে আমি আর কিছুই জানি না।’

এই যুবকের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানান, নিহত যুবক বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত ছিলেন। কারও কাছে তিনি আল আমিন ইসলাম মানিক এবং কারও কাছে রবিন, কারও কাছে আকাশ এবং কারও কাছে মঞ্জু নামে পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তার নামে সন্ত্রাসের ২০টির বেশি মামলা আছে।

দুপুর নাগাদ নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘ওই যুবক পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘ওই যুবককে শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ আটক করেছিল। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাতিরঝিলে মহানগর ব্রিজের কাছে একটি ডাকাত দলের প্রস্তুতির বিষয়ে তথ্য দেন। এরপর পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয়।’

তবে এসব কোনো তথ্যই তেজগাঁও থানা পুলিশ নিশ্চিত করছে না। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেই এক ধরনের অস্বস্তি বোধ করছেন তারা। একাধিকবার ফোন করা হলেও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ ফোন ধরেননি।

থানায় ফোন করে ডিউটি অফিসারকে চাওয়া হলে একজন ফোন করা হলে নিজেকে ওয়ারলেস অপারেটর পরিচয় দেন। বলেন ‘ডিউটি অফিসার থানায় নেই।’ তবে ওয়ারলেস অপারেটর বলে পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তি নিজের নাম জানাতে রাজি হননি।

পরে তার কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়েই উপপরিদর্শক মাজেদুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি কিছুই জানেন না বলে ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার সাত্যকি কবিরাজ ঝুলন বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, আপনি ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

বিভিন্ন সময় পাঁচবার ফোন করেও ওসি সাহেবকে পাওয়া যায়নি- এ কথা জানালে সহকারী কমিশনার বলেন, ‘আবার চেষ্টা করেন, হয়ত পেয়ে যাবেন।’

তার কথামত আবার ফোন দিলেও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোন ধরেননি। পরে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সাহাও ফোন ধরেননি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত যুবকের মরদেহ নিতে কেউ হাসপাতালে আসেনি।



মন্তব্য চালু নেই