ঐশীর আপিলের রায় যেকোনো দিন

পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশীর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। রোববার (৭ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন (সিএভি)।
আদালতে ঐশীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। জহিরুল হক সাংবাদিকদের জানান মোট ১৯ দিন ঐশী রহমানের আপিলের শুনানি করা হয়। গত ১২ মার্চ ঐশীর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়।
২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর ঐশীর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন ঐশী রহমান।
মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে ওই দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমানকে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। ওই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য ঐশী রহমানের বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে খালাস পেয়েছেন ঐশীর আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত ও নৃশংস। সাক্ষ্য প্রমাণে দেখা গেছে, ঘটনার সময় আসামি ঐশী রহমান প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিবেচনায় ঐশীকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই ঐশী রহমান পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে বাবা-মাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন।
মন্তব্য চালু নেই