ঐতিহাসিক ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ আজ

স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের ঐতিহাসিক পতনের দিন ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ আজ। ১৯৯০ সালের এই দিনে এরশাদ সরকারের পতন হয়। দিবসটিকে গণতন্ত্র মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

১৯৮২ সালের মার্চ মাসে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর এরশাদ সরকার দেশের রাজনীতি থেকে সংস্কৃতি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে গণবিরোধী ধারা প্রবর্তন করেন। রাজনৈতিক নেতারাও ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হন।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের সূচনা হয়। ঢাকা পলিটেকনিকের ছাত্র মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার প্রত্যয় ঘোষণা করে।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর হরতালের সময় নূর হোসেনকে স্বৈরাচার এরশাদের বাহিনী গুলি করে। নূর হোসেনের বুকে-পিঠে লেখা ছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।

অন্যদিকে ওই দিন সেনা ও পুলিশ বাহিনী আমিনুল হুদা টিটোকে হত্যার পর গুম করে। এ ঘটনায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এরশাদ হঠানোর আন্দোলনে নেমে পড়ে। এভাবে ঘটনাক্রমিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এরশাদ ১৯৯০ সালের ৫ ডিসেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ৯ বছরের শাসনের অবসান ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর।

আজকের এই দিনে তিন জোটের রূপরেখার ভিত্তিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয় অর্জিত হয়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই