ঐক্যবদ্ধ না হলে গণজাগরণ মঞ্চের নাম নেওয়া বারণ
‘গণজাগরণ মঞ্চ একটি পবিত্র নাম। লাখো মানুষের প্রাণের মঞ্চ এটি। সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যতদিন সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারবে ততদিন যেন এ পবিত্র নামটি তারা না নেয়।’
‘সম্প্রতি গণজাগরণ মঞ্চের মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে। পরস্পর দুভাগে বিভক্তি হয়ে মাইক বাজিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। কাদা-ছোড়াছুড়ি করছে। এটি কখনো কাম্য নয়।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ৫টি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
ছাত্রসংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি এবং বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাসদের সভাপতি মো. শামছুল ইসলাম সুমন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ত্বরান্বিত করতে হলে এবং আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। আন্দোলন বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে কেউ কাদা-ছোড়াছুড়ি করুক সেটি আমরা চাই না। আমরা চাই আবার লাখো কণ্ঠে সকলে মিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলুক।’
তিনি বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চ নামটি ব্যবহার করে সম্প্রতি এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে উদ্দেশ্য করে যেভাগে আক্রমনাত্মক বক্তব্য প্রদান করছে সেটি ঠিক নয়। তারা একে অপরকে রাজাকার বলছে। আর এ সুযোগে রাজাকারী সংগঠন জামায়াত শিবির আড়ালে বসে হাসছে। এটি কখনো কাম্য নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের রায় দেওয়া হবে। এসময় জামায়াত শিবির দেশে সহিংসতা সৃষ্টি করবে। গণজারগণ মঞ্চ যদি এভাবে দুভাগে বিভক্ত হয়ে কাদা-ছোড়াছুড়ি করে তাহলে তারা এ কাজে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠবে। এটি হতে দেওয়া যাবে না। সকলে মিলে জামায়াত শিবির প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যেৃর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মঞ্জুর রহমান মিঠু, ছাত্র সমিতির আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান খান, ছাত্র ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক সোহান সোবহান, বাংলাদেশ অনলাই এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের (বোয়ান) প্রতিনিধি সাগর লোহানী, অনিমেষ রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই