এবার ফেনীতে জীবিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে মৃত ঘোষণা!
আসন্ন সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মাহমুদকে হাল নাগাদ ভোটার তালিকায় মৃত বলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে নানা জটিলতার মধ্য দিন পার করছেন কাউন্সিলর হাসান মাহমুদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০০২ সালে সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হাসান মাহমুদ দুলাল কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে পৌর নির্বাচনে একই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে পরাজিত হন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আগামী ২০ মার্চ সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে পুনরায় একই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য হাসান মাহমুদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে জামানতের টাকা জমা দিয়ে নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার তালিকাসংবলিত একটি সিডি গ্রহণ করেন। সিডিটি কম্পিউটারে খোলা হলে তার নামটি না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসে জানালে নির্বাচন কর্মকর্তা তার নামটি মৃত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং ৩০২৯৪০৪৯৩৭৭৫৪, ভোটার ক্রমিক নং ২০৫, সব ঠিকঠাক থাকলেও জীবিত কাউন্সিলরকে মৃত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বেশ জটিলতায় পড়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় পার করছেন।
এ ব্যাপারে প্রাক্তন কাউন্সিলর হাসান মাহমুদ দুলাল উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসার সোনাগাজী, ফেনী বরাবর মৃত ভোটার তালিকা থেকে মূল ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তকরণসহ আসন্ন পৌর নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার সুযোগ প্রদানের জন্য একটি আবেদন করেছেন। হাসান মাহমুদ জানান, তার অজান্তে কোনো একটি কুচক্রী মহল জালজালিয়াতির মাধ্যমে তাকে জীবিত থেকে মৃত ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পাঁয়তারা করছে। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাঈনুল হক জানান, বিষয়টি জানার পর প্রাক্তন কাউন্সিলর হাসান মাহমুদকে দরখাস্ত নিয়ে সশরীরে নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে সংশোধন করার জন্য বলা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই