এবার পাবনায় আসামি ছিনতাই, পুলিশসহ আহত ৬
এবার পাবনায় হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ময়মনসিংহের ত্রিশালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের প্রায় ২ মাস পর এবার ঈশ্বরদী থেকে হত্যা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটল। এ সময় পুলিশ সহ ৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের জোতগাজী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পলাশ নামে এক যুবককে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় এক বছর আগে উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মজিবর রহমানকে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি জোতগাজী গ্রামের আকাত মালিথা তার বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে সাদা পোশাকে কয়েকজন পুলিশ মামলার বাদী ও তাদের স্বজনদের নিয়ে আকাত মালিথাকে গ্রেপ্তার করে।
জোতগাছি গ্রামের বাসিন্দা রাসেল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই সময় পুলিশের সামনেই মামলার বাদী পক্ষের লোকেরা আসামি আকাতকে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে আকাত মালিথার পক্ষের লোকজন একত্রিত হয়ে পুলিশ ও বাদী পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আকাতকে ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে।’
খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আসামি পক্ষের হামলায় ঈশ্বরদী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা সাহাজউদ্দিন, কনেস্টেবল মিজান, মামলার বাদী আনসারুল ইসলাম, জুয়েল, সজিব, আকাত, পলাশসহ ছয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে জুয়েল ও সজিবকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আসামি পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ঈশ্বরদী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা সাহাজউদ্দিন জানান, আকাতকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশের উপস্থিতিতে আসামি ও বাদী পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সুযোগে আসামি আকাত পালিয়ে যায়। সেসময় তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গিয়ে আহত হন।
তবে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ এ বিষয়ে বলেন, ‘আসামি ছিনিয়ে নেবার তথ্য সঠিক নয়। একটি হত্যা মামলার বাদী ও আসামি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসামি আকাত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পলাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে প্রকাশ্যে প্রিজনভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে জঙ্গি মামলার তিন আসামিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ সময় গুলিতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) আহত হন প্রিজনভ্যানে থাকা পুলিশের তিনজন সদস্য।
ছিনিয়ে নেয়া তিন আসামিই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে যুক্ত। জেএমবির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এ তিন আসামিকে ছিনিয়ে নেয় সেদিন।
মন্তব্য চালু নেই