এফবিআই’র মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাংকের স্টেটমেন্ট চাইবে সিআইডি

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সঙ্গে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি বৈঠক শুরু হয়েছে।

রোববার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এফবিআইয়ের এক সদস্য রাজধানী ঢাকার মালীবাগ মোড়স্থ সিআইডির সদরদপ্তরে আসেন।

এর আগে সিআইডির অরগানাইজ ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাওয়া হবে। ঠিক কোন খাতে খাত দেখে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অর্থ ছাড় দিয়েছিল তা জানার জন্যই এ স্টেটমেন্ট প্রয়োজন। তবে যেহেতু সিআইডি সরাসরি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে তা চাইতে পারে না, তাই ফেডারেল ব্যাংকের কাছে থেকে এফবিআইয়ের মাধ্যমে এ স্টেটমেন্ট চাওয়া হবে।

এসময় তিনি তদন্ত কাজের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন। চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারিকে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানান বাকী। তিনি আরো জানান, মূলত চারটি বিষয়কে ক্লু ধরে তারা তদন্ত কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। চারটি বিষয় হচ্ছে সিসি টিভির ফুটেজ, ওয়েবসাইট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ইমেইল।

এ বিষয়গুলো ক্লু ধরার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যেসব ফুটেজ সংগ্রহে আছে। তাতে দেখা গেছে রাত ২টা-৩টায় ব্যাংকের কার্যালয়ে লোকজন ঘোরো ফেরা করছেন। কেন তা জানার চেষ্ট চলছে। ওয়েবসাইটে কে কখন ঢুকেছেন সেসব ডাটাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। ব্যাংক স্টেটম্যান্টটাও চেক করে দেখা হচ্ছে। ই-মেইলে দেখা হচ্ছে কার কোথা থেকে কত মেইল আসছে।’

গুঞ্জন উঠেছিল ড. আতিউর রহমান পদত্যাগের পর তার বিদেশ যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার ওপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। কাউকে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা মনে করছে না সিআইডি।’



মন্তব্য চালু নেই