একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন

এডিবি ও আইডিবির সহায়তায় আশুগঞ্জে বিদ্যুৎকেন্দ্র

২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এডিবি ও আইডিবির সহায়তায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এ লক্ষে ‘আশুগঞ্জ (+৫%) মে.ও কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান (পূর্ব) নামে একটি প্রকল্পসহ মোট ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘৮হাজার ৮২৫ কোটি ২ লাখ ব্যয়ে মোট ৬ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারি অর্থায়ন ৬হাজার ১৪ কোটি ১৫ লাখ, প্রকল্প সাহায্য ২হাজার ৩৫৮ কোটি ২৮ লাখ এবং নিজস্ব তহবিল ১৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের একনেক বৈঠকে ২ হাজার ৯৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘আশুগঞ্জ (+৫%) মে.ও কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান (পূর্ব) নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ব্রাহ্মানবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ।’

প্রকল্পটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটিতে আইডিবি ও এডিবি অর্থায়ন করবে ২হাজার ৩৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সরকার ৪২০ কোটি ৬৮লাখ ও নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাজধানী ঢাকা শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি পাঁচটি তাপ-বিদ্যুৎ ইউনিট, একটি কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি গ্যাস ইঞ্জিন প্ল্যান্টের সমন্বয়ে গঠিত। এটি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় উচ্চ জ্বালানি দক্ষতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইট, স্টিম টারবাইট, স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার, গ্যাস ইন্সুলেটেড সুইস গ্যায়ার সিস্টেম ও কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রতিস্থাপন করা হবে।’

৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা ও এ খাতের স্থায়িত্ব ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়বে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাসের দক্ষ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে জানান এম এ মান্নান।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হল: ‘কুড়িল পূর্বাচল লিংক রোড়ের উভয় পার্শ্বে (কুড়িল হতে বালু নদী পর্যন্ত) ১০০ ফুট খনন ও উন্নয়ন’ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকা।

৩৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, কক্সবাজারের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ- ১ম সংশোধিত’।

‘সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপন- ২য় সংশোধিত’। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৮০ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

৪৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার ‘নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার শিবপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ’ প্রকল্প।

‘কক্সবাজার-টেকনাফ-মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প- ৩য় পর্যায় (শিলখালী থেকে টেকনাফ)’ প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৬ লাখ টাকা।



মন্তব্য চালু নেই