এটা রাস্তা না প্রতিদিনের অভিশাপ ?
টিপু সুলতান (রবিন), সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক থেকে শিমুলিয়া ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ স্থাপনকারী একমাত্র সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতি বছর বর্ষা শুরু না হতেই সড়কটি নাজেহাল হয়ে পড়ে। অল্প বৃষ্টিতে হাটু পানিতে তলিয়ে যায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে বিশিষ্ট সড়কটির বেশিরভাগ নিচু জায়গা। তৈরি হয় ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। এসময় যানবাহন চলাচল দূরের কথা সাধারন মানুষের হাটাচলাই দূরহ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীসহ বয়জেষ্ঠদের জন্য সড়কটি এসময় বেশী দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়ায়।
শিমুলিয়া এলাকার ব্যবসায়ী রহমান বলেন আমি প্রতিদিন শিমুলিয়া থেকে জিরানি বাজারে আসি মামাল কিনতে, আমাদের এই সড়কটি দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক লোকের দৈনিক যাতায়াত,এই একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে এতগুলো লোকের চলাচল, এটাতো রাস্তা না ভাই এটা আমাদের প্রতিদিনের অভিসাপ,কেও দেখার নেই আমাদের এতাগুলো লোকের ভোগান্তি।
আমতলা এলাকার বাসিন্দা শামিম হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় সড়কটি দিয়ে যানাচলাচল দূরের কথা পায়ে হেটে গন্তব্যে যাওয়া দূরহ হয়ে পড়ে। কাঁদা, পানি আর খানা-খন্দের কারণে প্রতিনিয়ত ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। আমতলা থেকে জিরানী বাজার আসতে যেখানে আঁধা ঘন্টা সময় লাগার কথা সেখানে ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পৌছানো সম্ভব হয়না। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা এই সড়কটির নাজুক দশার কারণেই সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে পৌছতে পারেনা। খানা-খন্দে ভরে থাকায় গাড়ী গুলোকেও চলতে হয় সাবধানে। অনেক সময় গর্তে আটকে সিএনজি, অটোরিকশা ও ভ্যানের মত স্থানীয় পরিবহন গুলো সড়কেই থেমে থাকে। আবার অনেক সময় যাত্রীরা বেকায়দায় পড়ে নিজেরাই গর্তে আটকে পড়া গাড়ীকে ঠেলে তোলে।
রুহুল নামে সড়কটিতে আটকে যাওয়া এক ভানের চালক জানান, পেটের দায়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাদের গাড়ী চালাতে হয়। আর বের হয়েই এই রাস্তার দুর্ভোগে পড়তে হয়। বেশিরভাগ সময়েই গাড়ী আটকে গেলে যাত্রীদের সাহায্যে ঠেলে তুলতে হয়। আর গাড়ী বিকল হয়ে পড়লে সারা দিন আর ভাড়া খাটা সম্ভব হয়না।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি নাজুক অবস্থায় থাকলেও কতৃপক্ষ সংস্কারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। গার্মেন্ট শ্রমিকসহ হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটির এমন অবস্থা যেন দেখার কেউ নাই।
সড়কটির নাজেহাল দশা থেকে সমাধানে কথা হয় শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজের সাথে। তিনি বলেন, দেড় মাস আগে সম্ভবত সাড়ে ৭ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করে সড়কটির টেন্ডার প্রদান করা হয়েছে। কাদের শিকদার নামে এক ঠিকাদার সেই টেন্ডার পেয়েছেন। শুধুমাত্র নির্দেশনার অপেক্ষায় সড়কটির নির্মাণকাজ থেমে আছে। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করার নির্দেশনা আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য চালু নেই