এটা ধর্মঘট নয়, স্বেচ্ছায় অবসর : নৌমন্ত্রীর সাফাই

সারাদেশে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো মানুষ। অথচ যাদের কারণে ধর্মঘট, সেই চালকদের পক্ষে সাফাই গাইলেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেছেন, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারেন। এটাকে ধর্মঘট নয় ‘স্বেচ্ছায় অবসর’ বলা যেতে পারে।

সমাধান হবে, তবে সময় লাগবে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘বাসচালক নেতারা কোনো নির্দেশনা মানতে চাইছেন না।’

পরিবহন শ্রমিকদের হঠাৎ করেই ডাকা ধর্মঘটের বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এর প্রতিবাদে রোববার থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন শ্রমিকরা।

এরপর ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে সোমবার এক চালকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

চালকদের পক্ষে সাফাই গেয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘চালকেরা মনে করেছেন- তারা মৃত্যুদণ্ডাদেশ বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের মতো রায় মাথায় নিয়ে গাড়ি চালাবেন না। তাই তারা স্বেচ্ছায় গাড়ি চালাচ্ছেন না। এটাকে ধর্মঘট নয়, স্বেচ্ছায় অবসর বলা যেতে পারে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোনো ঘোষণা দিয়ে এ কর্মসূচি দেয়া হয়নি। ক্ষুব্ধ চালকেরা জেল-জুলুম মাথায় নিয়ে কাজ করতে চান না। সবকিছু এবং সবাইকে আইন বা নিয়ম-কানুনের মধ্যে থাকা উচিত।’

এসময় অন্য সংগঠনের কর্মবিরতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে শাজাহান খান বলেন, সাংবাদিকদের পুলিশ পেটালে কলম-খাতা রাস্তায় ফেলে বসে থাকেন, বিষয়টি এ রকমই।

তিনি দাবি করেন, ‘দুনিয়ার কোথাও দুর্ঘটনার জন্য ফাঁসি বা যাবজ্জীবন দেয়ার আইন বা বিধান নেই। আমি মনে করি, চালকদের তিন বছর শাস্তি হওয়া উচিত। সারা পৃথিবীতে এসব অপরাধের জন্য বেশি হলে পাঁচ থেকে সাত বছরের শাস্তি হয়। খুন করা হলে ৩০২ ধারার মামলা করতেই পারে। কিন্তু ফাঁসি দিয়ে বা যাবজ্জীবন দিয়ে খুন বন্ধ করা যায় না।’



মন্তব্য চালু নেই