এখনও যে কারণে এমপি লতিফ সিদ্দিকী

দল থেকে বহিষ্কার হলেও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখনও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগে প্রথমে তার মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর বহিষ্কারাদেশ স্পিকারের কাছে পাঠানোর কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা পৌঁছায়নি। এ জন্য লতিফ সিদ্দিকী এখনও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন।

লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের অবসান হচ্ছে না। চিঠি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সংসদ সচিবালয়ও।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কাছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো চিঠি আসেনি। চিঠি পেলে আমি নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠাব। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদ সচিবালয়ে জানানোর পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তবে লতিফ সিদ্দিকীর অধিবেশনে যোগদানের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।

স্পিকার আরও বলেন, সংসদে ট্রেজারি বেঞ্চের ১৪ নম্বর আসনটি লতিফ সিদ্দিকীর। এখনও অধিবেশন কক্ষে তার বসার আসনটি অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।

গেল বছর ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হযরত মোহাম্মদ (সা.), হজ ও তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য দেওয়ায় লতিফ সিদ্দিকীকে প্রথমে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর তাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ এবং সর্বশেষ দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।

২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ খারিজ চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়নি।

সংসদ সদস্য পদ শূন্য প্রসঙ্গে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হইয়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি উক্ত দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে।’ তবে বহিষ্কার হলে কী হবে তা বলা হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই