এক ওয়াক্তও নামাজ পড়ে না, সরকারি টাকায় হজে!

হজ নিয়ে ব্যবসা বন্ধে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য। তারা হজযাত্রীদের পবিত্র কাবার আশপাশের হোটেল বা বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে তারা অভিযোগ করেন, সরকারি অর্থে সরকারি কর্মকর্তাসহ পিয়ন দারোয়ানরা হজ করতে যাচ্ছেন। এমনকি এক ওয়াক্ত নামাজ পড়েন না এমন লোকও হজে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে দশম জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এ কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৫২৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা মঞ্জুরি বরাদ্দের প্রস্তাব উত্থাপন করলে ৮জন সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাব দেন।

ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘হজ নিয়ে আজকে ব্যবসা করা হচ্ছে। হাজিদের কষ্ট দিয়ে মুনাফা করা হচ্ছে। হাজিদের কাবা শরিফের আশপাশে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক বয়স্ক লোক হজ করতে যান। তাদেরকে অনেক দূরে রাখা হয়। তারা কাবাঘরে গিয়ে নামাজ ও তাওয়াফ করতে পারেন না। এভাবে হজ নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।’

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমরা দেখছি সরকারি অর্থে রাজনৈতিক নেতা, অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে কর্মচারীরা পর্যন্ত হজ পালন করতে যাচ্ছেন। যাদের আর্থিক সামর্থ আছে তারা সরকারি টাকায় হজ করতে যাচ্ছেন। অথচ গ্রাম গঞ্জে হাজার হাজার আলেম ইমাম রয়েছেন যারা অর্থের অভাবে হজে যেতে পারেন না। তাদেরকে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা না করে যারা এক ওয়াক্ত নামাজও পড়েন না তাদেরকে সরকারি টাকায় হজে পাঠানো হয়। এটা মেনে নেয়া যায় না। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’

জবাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা যা বলেছেন আমি শুনেছি। আমার জানামতে কেউ অনিয়ম করতে পারবে না। তারপরও এসব বিষয় আমরা বিশেষভাবে দেখবো।’



মন্তব্য চালু নেই