একমাত্র চেয়ারম্যান পদপ্রাথী সেতারা বেগম উন্নয়নের রোল মডেল হতে চান

হামিদা আক্তার বারী,ডিমলা (নীলফামারী) থেকে : দীর্ঘদিন ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ইউপি’র সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বে থেকে এখন সাধারণ জনগনের ডাকে সারা দিতে গিয়ে এখন উন্নয়নের রোল মডেল হতে চান ইউপি সদস্য সেতারা বেগম। তিনি একান্তে আলাপকালে তার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন পরিকল্পনান কথা বলেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ইউনয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য থেকে এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি। তবে এ সল্প পরিসরে থেকেও এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি তাতেই এলকাবাসী খুশি থাকলে ও আমি পরিতৃপ্তির হাসি হাসতে পারিনা। তাই এবার চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নির্বাচিত হলে সাধারণ জনগনের কাঙ্গিত উন্নয়ন করে উন্নয়নের রোল মডেল হতে চাই। এই দোয়াই বর্তমানে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে চাই। আর প্রত্যাশা পুরনের আমার ই”্ছার পাশাপাশি চাই জনগনের সহযোগীতা।

এভাবেই কথাগুলি বলছিলেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সেতারা বেগম। তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এবারে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রাথী হয়ে মোনোনয়ন পেপার ক্রয় করেছেন। কেন আপনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান? এরকম প্রশ্নের জবাবে সেতারা বেগম বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ইউপি’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। জনগনের সেবায় নিয়োজিত থেকে বুঝতে পেরেছি শুধুমাত্র একজন ইউপি’র সদস্য থেকে সাধারণ জনগণ তথা ইউনিয়নবাসীর আশা-প্রত্যাশার পুরন করা সম্ভব হয় না। জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে উন্নয়ন করাও দু:স্বাধ্য হয়ে পড়ে।

কিন্ত একজন ইউপি চেয়ারম্যান ইচ্ছা করলেই জনগনের চাওয়া পাওয়া প্রাধান্ন দিয়ে উন্নয়ন করতে পারেন। কিন্তু তারা (চেয়ারম্যান) ইউপি’র প্রায় সকল বরাদ্দ নিজের পকেটে সবটুকু ঢুকাতে পারলেই মহা চেয়ারম্যানে পরিণত হন বলে তারা (চেয়ারম্যান) মনে করেন।

তাই এবারে আমি ঠিক করেছি জনগণের দোড় গোড়ায় ইউপি’র সকল সেবা পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং যথাসম্ভব উন্নয়ন করার প্রত্যাশা নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে লড়াই করতে চাই জনসাধারনকে সাথে নিয়ে। তাছাড়া আমি এবার জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়ে এবং জনগনের চাপেই চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেপার ক্রয় করেছি।

এদিকে সেতারা বেগম বিগত বছরগুলিতে উক্ত ইউনিয়নের ৪,৫,ও ৬ নং ওর্য়াডের মহিলা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনে কালে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি বলেন, আমি সদস্য নির্বাচিত হয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় ইউপি’র বরাদ্দ ব্যাতিরেখে নিজস্ব তহবিলে এলাকার ৩টি পয়েন্টে কালভার্টসহ বিভিন্ন মন্দির, মসজিতে মাইক প্রদান করি ,প্রায় প্রতিটি নামাজিদের জন্য মসজিদে চট দেই ,দরিদ্র হতদরিদ্র মহিলাদের মাঝে শাড়ী, কম্বল এবং ভূমিহীনদের পূর্নবাসনসহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে সার্বক্ষনিক লিপ্ত থেকে ছোট্ট পরিসরে হলেও এলাকায় ব্যাতিক্রমী এক ধারায় নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছি।

স্ব-শিক্ষায় শিক্ষত এই নারী ছোট বেলা থেকেই পরোপকারী ছিলেন। সেতারা বেগম এলাকায় বেশ কিছু সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত থেকে সকলের মনি কোঠায় ঢুকে পড়েছেন। নারীবাদী সেতারা বেগম এলাকায় কোথাও বাল্য বিবাহের খরব পেলেই ছুটে গিয়ে বাল্যবিবাহ রোধ করেন। নারী নির্যাতনের খবর পেলে ঠিক থাকতে পারেন না এই নারীবাদী মহিলা সদস্য। পারিবারিক কলহে কিংবা যেকোন কারনে নারী নির্যাতন সংঘঠিত হলে তিনি ছুটে গিয়ে যে ভাবে সম্ভব, যাকে যেভাবে বুঝাতে হবে সেভাবে বুঝিয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করেন।

এভাবে সামাজিক নানা কর্মকান্ডে সর্বাক্তক ভূমিকা রেখে এলাকায় সকল নির্যাতন প্রতিরোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। একান্তে কথা হলে তিনি আরো বলেন, বলতে পারেন আমি আমার স্বামী ডিজেল আহম্মেদ এর উৎসাহ ও প্রেরণায় জনগণের সেবায় নিয়োজিত। তিনি সার্বক্ষনিক আামকে বলেন, সাধারণ মাসুষের পাশে থেকে কাজ পারলেই তো সুখ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, তুমি যতদিন বাচবে ততদিন দু:খি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর কাজটা তোমাকেই করতে হবে। দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষের পাশে তোমাকে থাকতে হবে। প্রয়োজনে আমার স্বামীই আমাকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগীতা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। যার ফলে আমি তাদের পাঁশে থাকতে পেরেছি। তাই আমি আমার স্বামীর কাছে কৃতজ্ঞ। সাধারন মানুষের পাঁশে থেকে কাজ করে যেতে পেরে আমি গর্বিত। তাই বাকী জীবনটা মানুষের পাঁশে থেকেই জীবন সংসারটা চালিয়ে যেতে চাই।

চেয়ারমান পদ প্রার্থী সেতারা বেগম বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমি ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে নির্বাচিত হতে পারলে সকল মানুষের পাঁশে থেকে তাদের সেবা করেই আমার নির্বাচনী সকল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।

সেই সাথে ইউনিয়নটিকে ডিজিটাল ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠিত করে ইউপি’র সকল সুযোগ সুবিধা তাদের হাতে কাছে পৌঁছে দিবো। ইউনিয়নে সকল উন্নয়ন করেই উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করবো ইউনিয়নবাসীকে ইনশাল্লাহ। পাশাপাশি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখতে চাই নিজেকে।



মন্তব্য চালু নেই